বিদেশী বিভিন্ন ভাষা হতে বাংলায় অনুবাদ করা যায় এবং বাংলা থেকেও অন্য ভাষায় অনুবাদ করা সম্ভব। তাই এক কথায় অনুবাদ হল ভাষান্তর। এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় নিয়ে যাওয়া। কিন্তু এই নিয়ে যাওয়াটি সবক্ষেত্রে সহজ নয়। কোনো বিষয়কে রূপান্তরিত করতে হলে উভয় ভাষায় গঠন কৌশল, রীতি প্রভৃতি সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।
প্রত্যেক ভাষারই নিজস্ব গঠনভঙ্গি, প্রকাশরীতি ও বৈশিষ্ট্য আছে। অনুবাদে সে বৈশিষ্ট্যের যথাযথ প্রতিফলন দরকার। মোট কথা, অনুবাদে মূল সুরটি কিছুতেই বিকৃত করা যাবে না। অনুবাদ হল এক ধরনের শিল্প। অনুবাদ কর্মে যদি ভাষায় মুন্সিয়ানা আর মূলের রূপ, রস, স্বাদ ও সৌন্দর্য অক্ষুণ্ণ থাকে তবে অনায়াসে তা শিল্পকে ছুঁয়ে যেতে পারে।
অনুবাদের অসুবিধা:
প্রত্যেক ভাষারই নিজস্ব গঠনভঙ্গি, প্রকাশরীতি ও বৈশিষ্ট্য আছে। অনুবাদে সে বৈশিষ্ট্যের যথাযথ প্রতিফলন দরকার। মোট কথা, অনুবাদে মূল সুরটি কিছুতেই বিকৃত করা যাবে না। অনুবাদ হল এক ধরনের শিল্প। অনুবাদ কর্মে যদি ভাষায় মুন্সিয়ানা আর মূলের রূপ, রস, স্বাদ ও সৌন্দর্য অক্ষুণ্ণ থাকে তবে অনায়াসে তা শিল্পকে ছুঁয়ে যেতে পারে।
অনুবাদ কি বা কাকে বলে :-
অনুবাদ হলো কোনো বক্তব্য বা রচনাকে এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় রূপান্তরিত করা। কোনো রচনার বক্তব্য বিষয়কে পরিবর্তন না করে শুধু ভাষার পরিবর্তনকেই অনুবাদ বলা হয়।আরও পড়ুন :- অনুবাদ সাহিত্য কি?
বিশ্বের অগণিত ভাষায় যে বিপুল জ্ঞনচর্চা হচ্ছে, শিল্প-সাহিত্য-বিজ্ঞান-দর্শন-সমাজতত্ত্ব-নৃতত্ত্ব এবং মানববিদ্যার যে কোনো বিষয় নিয়ে জ্ঞানের যে প্রবাহ বিকাশ লাভ করছে তা সারাবিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছানোর অন্যতম উপায় হল অনুবাদ।
অনুবাদের গুরুত্বের কারণে বিভিন্ন সাহিত্যে অনুবাদ নামক বিশেষ এক শাখা গড়ে উঠেছে। অনুবাদের দ্বারা পরস্পরের ভাষা সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে।
১. আক্ষরিক অনুবাদ এবং
২. ভাবানুবাদ।
আক্ষরিক অনুবাদে ভাবার্থের দিকে দৃষ্টি দেয়া হয় না। "Many men many mind" এই বাক্যের অর্থ যদি করা হয় অনেক মানুষ অনেক মন -- তাহলে তাকে আক্ষরিক অনুবাদ বলা যায়।
ভাবানুবাদে মূল রচনার প্রতিটি শব্দের অনুবাদ করা হয় না। "Many men many mind' এই বাক্যের অর্থ যদি করা হয় নানা মুনির নানা মত তাহলে তাকে ভাবানুবাদ বলা যায়।
বিশ্বের অগণিত ভাষায় যে বিপুল জ্ঞনচর্চা হচ্ছে, শিল্প-সাহিত্য-বিজ্ঞান-দর্শন-সমাজতত্ত্ব-নৃতত্ত্ব এবং মানববিদ্যার যে কোনো বিষয় নিয়ে জ্ঞানের যে প্রবাহ বিকাশ লাভ করছে তা সারাবিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছানোর অন্যতম উপায় হল অনুবাদ।
অনুবাদের গুরুত্বের কারণে বিভিন্ন সাহিত্যে অনুবাদ নামক বিশেষ এক শাখা গড়ে উঠেছে। অনুবাদের দ্বারা পরস্পরের ভাষা সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে।
অনুবাদের প্রয়োজনীয়তা :-
জ্ঞনবিস্তারে অনুবাদের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। অনুবাদের সাহায্যেই পৃথিবীর বিজ্ঞান -সাহিত্য- সংস্কৃতি -শিল্পকলা সম্পর্কে সাধারণ পাঠক জ্ঞান লাভ করতে পারে। অনুবাদ হলো কোনো বক্তব্য বা রচনাকে এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় রূপান্তরিত করা। কোনো রচনার বক্তব্য বিষয়কে পরিবর্তন না করে শুধু ভাষার পরিবর্তনকেই অনুবাদ বলা হয়। কোনো ভাষার সমৃদ্ধি সাধনে ও বিশ্বসাহিত্যের ক্ষেত্রে অনুবাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।অনুবাদের শ্রেণিবিভাগ :-
অনুবাদ কাজকে দুই ভাগে ভাগকরা যায়। যেমন-১. আক্ষরিক অনুবাদ এবং
২. ভাবানুবাদ।
এখন আমরা এই দুই প্রকার অনুবাদ সম্পর্কে আলোচনা করব -
আক্ষরিক অনুবাদ কাকে বলে :-
মূল ভাষার প্রতিটি শব্দের প্রতিশব্দ ব্যবহার করে যে অনুবাদ করা হয় তাকে আক্ষরিক অনুবাদ বলা হয়।আক্ষরিক অনুবাদে ভাবার্থের দিকে দৃষ্টি দেয়া হয় না। "Many men many mind" এই বাক্যের অর্থ যদি করা হয় অনেক মানুষ অনেক মন -- তাহলে তাকে আক্ষরিক অনুবাদ বলা যায়।
ভাবানুবাদ কাকে বলে :-
মূল ভাষার ভাব ঠিক রেখে সুবিধামত নিজের ভাষায় বক্তব্য প্রকাশ করাকে ভাবানুবাদ বলা হয়।ভাবানুবাদে মূল রচনার প্রতিটি শব্দের অনুবাদ করা হয় না। "Many men many mind' এই বাক্যের অর্থ যদি করা হয় নানা মুনির নানা মত তাহলে তাকে ভাবানুবাদ বলা যায়।
১. অনুবাদের অংশটি বার বার পড়ে ভেতরের ভাবটুকু ভালভাবে বুঝে নিতে হবে।
২. মূল বাক্যে যে ক্রিয়া ও বাচ্য থাকে অনুবাদেও সেই বাচ্য ও ক্রিয়াপদ নির্দেশ করতে হবে।
৩. কঠিন ভাষা এড়িয়ে সহরা, সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় অনুবাদ করা উচিত।
৪. ভাষার সৌন্দর্য রক্ষার জন্যে মূলের বড় বাক্যকে ভেঙে ছোট ছোট করে অনুবাদ করা উচিত।
৫. পরিভাষা দূবোধ্য হলে মূল শব্দটি ব্যবহার করা চলে।
৬. মূল অংশের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উক্তি অনুবাদের ক্ষেত্রেও একইভাবে রূপান্তরিত হবে।
৭. মূল রচনার ভাষা রীতি অনুবাদেও প্রতিফলিত হওয়া দরকার।
৮. ইংরেজি নামগুলো ইংরেজি নামরূপেই অনুবাদ করতে হবে।
৯. অনুবাদ কালে কোনো বাক্যের ব্যাখ্যা অপ্রয়োজনীয়। ভাষার চেয়ে ভাবের দিকে লক্ষ্য রাখা জরুরি।
১০. অনুবাদ এক ধরনের শিল্প। এর ভাব ও ভাষার সামঞ্জস্য থাকতে হবে।
২. মূল বাক্যে যে ক্রিয়া ও বাচ্য থাকে অনুবাদেও সেই বাচ্য ও ক্রিয়াপদ নির্দেশ করতে হবে।
৩. কঠিন ভাষা এড়িয়ে সহরা, সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় অনুবাদ করা উচিত।
৪. ভাষার সৌন্দর্য রক্ষার জন্যে মূলের বড় বাক্যকে ভেঙে ছোট ছোট করে অনুবাদ করা উচিত।
৫. পরিভাষা দূবোধ্য হলে মূল শব্দটি ব্যবহার করা চলে।
৬. মূল অংশের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উক্তি অনুবাদের ক্ষেত্রেও একইভাবে রূপান্তরিত হবে।
৭. মূল রচনার ভাষা রীতি অনুবাদেও প্রতিফলিত হওয়া দরকার।
৮. ইংরেজি নামগুলো ইংরেজি নামরূপেই অনুবাদ করতে হবে।
৯. অনুবাদ কালে কোনো বাক্যের ব্যাখ্যা অপ্রয়োজনীয়। ভাষার চেয়ে ভাবের দিকে লক্ষ্য রাখা জরুরি।
১০. অনুবাদ এক ধরনের শিল্প। এর ভাব ও ভাষার সামঞ্জস্য থাকতে হবে।
আরও পড়ুন :- বচন কাকে বলে? ও কত প্রকার?
অনুবাদের সুবিধা ও অসুবিধা :-
অনুবাদের সুবিধা:- - বিভিন্ন ভাষায় কথা বলা মানুষের মধ্যে যোগাযোগ সহজ করে তোলে।
- - বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।
- - ব্যবসা, শিক্ষা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
অনুবাদের অসুবিধা:
- - অনুবাদ সবসময় সঠিক হয় না, কখনো কখনো অর্থ বিকৃত হয়ে যেতে পারে।
- - সাংস্কৃতিক পার্থক্য অনুবাদের মাধ্যমে পূর্ণভাবে প্রকাশ পায় না।
- - দক্ষ অনুবাদক খুঁজে পাওয়া কঠিন এবং অনুবাদের জন্য অর্থ ব্যয় করতে হয়।
1 মন্তব্যসমূহ
ধন্যবাদ।
উত্তরমুছুনPlease do not enter any spam link in the comment box.