কর্মপ্রবচনীয় কাকে বলে? অনুসর্গের প্রকারভেদ? অনুসর্গের বৈশিষ্ট্য লেখ?

কর্মপ্রবচনীয় কাকে বলে :-

বাংলায় বিভক্তি স্থানীয় শব্দকে অনুসর্গ বলা হয়। অনুসর্গ সাধারণত শব্দের পরে বসে। সংস্কৃতে এ জাতীয় শব্দকে আবার কর্মপ্রবচনীয় বলে।

অর্থাৎ সংস্কৃতে যা কর্মপ্রবচনীয় বলে পরিচিত বাংলায় তাকেই অনুসর্গ বলা হয়। এক কথায় বলা যায় - বাংলায় বিভক্তি স্থানীয় শব্দকে অনুসর্গ বলা হয়।

বাংলা ভাষায় যে অব্যয় শব্দগুলোর নিজস্ব অর্থ ও স্বতন্ত্র প্রয়োগ রয়েছে, যা কখনো স্বাধীন পদরূপে, আবার

আরও পড়ুন :- অনুচ্ছেদ কি?

কখনো শব্দ বিভক্তির মতো বাক্যে ব্যবহৃত হয় সেগুলোকে অনুসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয় শব্দ বলে।

আবার আমরা অনুসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয় কাকে বলে তা অন্য ভাবে বললে, যে অব্যয় শব্দগুলো কখনো স্বাধীন পদ রূপে, আবার কখনো শব্দ বিভক্তির ন্যায় বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে বাক্যের অর্থ প্রকাশে সাহায্যে করে, সেগুলোকে অনুসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয় বলে।

অনুসর্গগুলো কখনো প্রতিপদিকের পরে ব্যবহৃত হয়, আবার কখনো বা 'কে' এবং 'র' বিভক্তিযুক্ত শব্দের পরে বসে।
কর্মপ্রবচনীয় কাকে বলে

অনুসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয় শব্দের উদাহরণ :-

বিনা - দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি? (প্রতিপদিকের পরে)

সনে - ময়ূরীর সনে নাচিছে ময়ূর। (ষষ্ঠী বিভক্তিযুক্ত শব্দের পরে)

দিয়ে - তোমাকে দিয়ে আমার চলবে না। (দ্বিতীয়ার 'কে' বিভক্তিযুক্ত শব্দের পরে)

আরও পড়ুন :- অপিনিহিতি কি ও কেন?

অনুসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয় শব্দের বৈশিষ্ট্য :-

১. অনুসর্গের নিজস্ব অর্থ থাকে।

২. অনুসর্গের স্বতন্ত্র প্রয়োগ আছে।

৩. অনুসর্গ সম্পর্কিত শব্দটির ডানদিকে একটু তফাতে বসে।

৪. অনুসর্গ সাধারণত শব্দের পরে বসলেও কখনো কখনো পূর্বেও বসে।

অনুসর্গের প্রকারভেদ :-

বাংলা ভাষায় বহু অনুসর্গ আছে। যেমন- প্রতি, বিনা, বিহনে, সহ, পর্যন্ত, অপেক্ষা, সহকারে, তরে, পানে, নামে, মত, থেকে, চেয়ে, পাছে, নিকট, অধিক, পক্ষে, দ্বারা, দিয়া, দিয়ে, কর্তৃক,পরে, ভিন্ন, বই, ব্যতীত, জন্যে, জন্য, ওপর, অবধি, হেতু, মধ্যে, মাঝে, সাথে, সঙ্গে, হইতে, হতে, ভিতর, ভেতরে ইত্যাদি।

এদের মধ্যে দ্বারা, দিয়া (দিয়ে), কর্তৃক, হইতে (হতে), চেয়ে, অপেক্ষা, মধ্যে প্রভৃতি কয়েকটি অনুসর্গ বিভক্তিরূপে ব্যবহৃত হয়। কারক প্রকরণে এদের উদাহরণ সন্নিবিষ্ট হয়েছে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ