কথা বাংলা ভাষায় ব্যঞ্জন সংগতির ব্যবহার বা প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায়। বাঞ্জন সংগতি বা সমীভবন বা সমীকরণ কথাটির অর্থ হল সমান হওয়া বা সমান করা। উচ্চারণকে সরল ও সহজ করার জন্যই এই সমীভবনের জন্ম।
১. স্বরপরিবর্তন: সমীভবনে দুই বর্ণের মধ্যে কোন স্বরপরিবর্তন ঘটে না, কিন্তু বিষমীভবনে একটি বর্ণের স্বরপরিবর্তন ঘটে।
২. উচ্চারণ সুবিধা: সমীভবনের কারণে উচ্চারণ সুবিধা হয় কিন্তু বিষমীভবনের কারণে উচ্চারণে অসুবিধা হয়।
৩. অর্থ পরিবর্তন: সমীভবনে অর্থ পরিবর্তন হয় না কিন্তু বিষমীভবনের ফলে অর্থ পরিবর্তন হতে পারে।
৪. আভাস: বিষমীভবনের ফলে একটি শব্দের চেয়ে অন্য শব্দের আভাস দেখা যায়। যেমন: লাঙ্গল > নাঙ্গল।
৫. প্রয়োগ: সমীভবন সাধারণত পত্র, গদ্য এবং কাব্যে প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু বিষমীভবন সামাজিক ও পরিক্ষানুরূপ ভাষায় বেশি প্রয়োগ করা হয়।
এগুলো সমীভবন ও বিষমীভবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য।
সমীভবন কাকে বলে :-
শব্দের মধ্যে পাশাপাশি অবস্থিত দুটি পৃথক ব্যঞ্জনধ্বনি যখন একে অপরের প্রভাবে বা উভয় উভয়ের প্রভাবে পরিবর্তিত হয়ে দুটি একই ব্যঞ্জনে পরিণত হয় অথবা উচ্চারণগত সমতা লাভ করে, তবে সেই ধ্বনি পরিবর্তন প্রক্রিয়াকে বলে সমীভবন বা সমীকরণ।আরও পড়ুন :- অনুধাবন কাকে বলে?
১ - প্রগত সমীভবন (Progressive Assimilation),
২ - পরাগত সমীভবন (Regressive Assimilation) ও
৩ - অন্যান্য বা পারস্পরিক সমীভবন (Mutual Assimilation)
এখন এই বিভিন্ন প্রকার সমীভবন কাকে বলে তা নিয়ে আলোচনা করব -
সমীভবন কত প্রকার ও কি কি :-
সমীভবনকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা-১ - প্রগত সমীভবন (Progressive Assimilation),
২ - পরাগত সমীভবন (Regressive Assimilation) ও
৩ - অন্যান্য বা পারস্পরিক সমীভবন (Mutual Assimilation)
এখন এই বিভিন্ন প্রকার সমীভবন কাকে বলে তা নিয়ে আলোচনা করব -
(১) প্রগত সমীভবন কাকে বলে :-
পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনধ্বনির প্রভাবে পরবর্তী ধ্বনি পরিবর্তিত হয়ে যখন একই রকম বা কাছাকাছি একই রকম ধ্বনিতে রূপান্তরিত হয়। তখন তাকে বলা হয় প্রগত সমীভবন (Progressive Assimilation)।
যেমন, পদ্ম > পদ, চন্দন চমন, গলদা গলা, সুত্র সুপ্ত বাক্য বাক প্রভৃতি।
আরও পড়ুন :- অভিসার কাকে বলে?
(২) পরাগত সমীভবন কাকে বলে :-
পরবর্তী ব্যঞ্জন ধ্বনির প্রভাবে পূর্ববর্তী ধ্বনি পরিবর্তিত হয়ে একই রকম ধ্বনিতে রূপান্তরিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে পরাগত সমীভবন (Regressive Assimilation) বলে।
যেমন- গল্প গল্প, দুর্গা, ধর্ম, জন্ম জন্ম মূর্খ মুখ প্রভৃতি ।
(৩) অনন্য সমীভবন কাকে বলে :-
পূর্ববর্তী ও পরবর্তী উভয় বাজন ধ্বনির প্রভাবে পারস্পরিক পরিবর্তন ঘটে তখন সেই প্রক্রিয়াকে বলে অন্যোন্য সমীভবন (Mutual Assimilation)।
যেমন- উচ্ছ্বাস উচ্ছ্বাস, মহোৎসব মোছৰ, কুৎসা - কেচ্ছা, সত্য সঙ্গ সাচ প্রভৃতি।
সমীভবন ও বিষমীভবন পার্থক্য :-
সমীভবন এবং বিষমীভবনের মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে:১. স্বরপরিবর্তন: সমীভবনে দুই বর্ণের মধ্যে কোন স্বরপরিবর্তন ঘটে না, কিন্তু বিষমীভবনে একটি বর্ণের স্বরপরিবর্তন ঘটে।
২. উচ্চারণ সুবিধা: সমীভবনের কারণে উচ্চারণ সুবিধা হয় কিন্তু বিষমীভবনের কারণে উচ্চারণে অসুবিধা হয়।
৩. অর্থ পরিবর্তন: সমীভবনে অর্থ পরিবর্তন হয় না কিন্তু বিষমীভবনের ফলে অর্থ পরিবর্তন হতে পারে।
৪. আভাস: বিষমীভবনের ফলে একটি শব্দের চেয়ে অন্য শব্দের আভাস দেখা যায়। যেমন: লাঙ্গল > নাঙ্গল।
৫. প্রয়োগ: সমীভবন সাধারণত পত্র, গদ্য এবং কাব্যে প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু বিষমীভবন সামাজিক ও পরিক্ষানুরূপ ভাষায় বেশি প্রয়োগ করা হয়।
এগুলো সমীভবন ও বিষমীভবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য।
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.