বিরাম চিহ্ন :-
বিরাম শব্দের অর্থ বিন্যাস, যতি, বিরতি বা থেমে যাওয়া। মানুষ একটানা কথা বলতে পারে না। তাই তাকে মাঝে মাঝে থামতে হয়।
উপরোক্ত এই বাক্যের অর্থ সুস্পষ্ট নয়। কিন্তু যদি আমরা এখানে বিরাম চিহ্নের ব্যবহার করি তবে বাক্যের অর্থ সুস্পষ্ট হবে।
আমি তাহার হাতখানি তুলিয়া ধরিয়া বলিলাম "হৈম আমার উপর রাগ করিয়ো না। আমি তোমার সত্যে কখনো আঘাত করিব না, আমি যে তোমার সত্যের বাঁধনে বাঁধা:।
বাক্যের শেষে ব্যবহৃত বিরামচিহ্নগুলো হচ্ছে দাঁড়ি (।) জিজ্ঞাসাচিহ্ন (?) ও বিষয়চিহ্ন (!)।
দাঁড়ি (।) :-
বক্তার বা লেখকের মনোভাবের সমাপ্তি বোঝাতে বাক্যের শেষে দাঁড়ি বা পূর্ণচ্ছেদ বসে। যেমন:
আমরা বাংলাদেশে বাস করি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নাম নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী।
জিজ্ঞাসাচিহ্ন (?) :-
বক্তার মনে যদি কোনো কিছু জানার আগ্রহ থাকে, তবে তা জানতে বাক্যের শেষে প্রশ্নচিহ্ন বা জিজ্ঞাসাচিহ্ন বসে।
যেমন :
তোমার নাম কী?
তুমি কি কাউকে ভালোবাসো?
বিষয়চিহ্ন (!)
বক্তার মনের বিভিন্ন আবেগ যেমন: আনন্দ, বেদনা, দুঃখ, ভয়, ঘৃণা ইত্যাদি প্রকাশ করতে এবং পদের পরে বিষয়চিহ্ন বা সম্বোধনচিহ্ন বসে।
যেমন:
আহা! কী সুন্দর দৃশ্য।
মাগো! তুমি কখন এলো।
বাক্যের মধ্যে ব্যবহৃত বিরাম চিহ্নগুলো হচ্ছে -
কমা (,), সেমিকোলন (;), কোলন (:), হাইফেন (--), ড্যাশ (-), ঊর্ধ্বকমা ('), উদ্ধৃতিচিহ্ন (""), বিকল্প চিহ্ন (/)
কমা (,) :-
বাক্যের মধ্যে অল্প বিরতির জন্য কমা ব্যবহৃত হয়। বাক্যে অনেক ক্ষেত্রে কমা বসে। যেমন-
ক) বাক্য উচ্চারণ কালে সুস্পষ্টতা বা অর্থ বিভাগ দেখানোর জন্য যেখানে স্বল্প বিরতির দরকার, সেখানে কমা ব্যবহৃত হয়।
যেমন- সুখ চাও, সুখ পাবে পরিশ্রমে।
(খ) পরস্পর সম্বন্ধ যুক্ত অনেকগুলো বিশেষ্য বা বিশেষণ পদ একসঙ্গে বসলে শেষের পদটি ছাড়া অন্যান্য পদ গুলোর পরে কমা বসে।
যেমন: সুখ, দুঃখ, আশা, নৈরাশ্য একই মালিকার পুষ্প।
গ) সম্বোধন পদের পরে কমা বসে।
যেমন নিপা, এদিকে তাকাও।
ঘ) উদ্ধরণ চিহ্নের আগে কমা বসে।
যেমন- রনি বলল, “কাল স্কুল খুলবে।"
ঙ) মাসের তারিখ, বার এবং মাসের পর কমা বসে।
যেমন- ৮ই মাঘ, বুধবার, ১৩৭৫ সাল।
1. একটি বাক্যের শেষে বিরাম চিহ্ন (।) দিতে হবে। যেমন: আমি বাংলায় লেখালেখি শিখছি।
2. প্রশ্নবোধক বাক্যের শেষে প্রশ্নবোধক চিহ্ন (?) দিতে হবে। যেমন: তুমি কোথায় যাচ্ছ?
3. উৎসাহবোধক বাক্যের শেষে উৎসাহবোধক চিহ্ন (!) দিতে হবে। যেমন: খুব সুন্দর লেখা !
4. কমা (,) দিয়ে একে অপরের সাথে যুক্ত করা হয়। যেমন: আমি, তুমি, সে বই পড়ি।
5. দুই বা ততোধিক বাক্য মিলিয়ে যুক্তকারী যোগ করা হলে কমা (,) দেওয়া হয় এবং শেষে একটি বিরামচিহ্ন দেওয়া হয়। যেমন: আজ আমি স্কুলে যাব, তারপর বন্ধুর সাথে দেখা করব।
এইরকম নিয়ম মেনে বাংলায় বিরামচিহ্ন ব্যবহার করা হয়।
১. বাক্যের শেষ সংকেত: বিরাম চিহ্ন বাক্যের শেষ কোন অংশ তা সংকেত করে। বিনা বিরাম চিহ্নে বাক্যগুলো একই চলতে থাকে, কোথায় শেষ হল তার কোন উপায় থাকে না।
২. সঠিক পড়াশোনার সুবিধা: বিরাম চিহ্নগুলো সঠিক স্থানে ব্যবহার করলে একই লেখাটি পড়লে ভালোভাবে ও সঠিকভাবে বোঝা যায়।
৩. ভাব প্রকাশের সুবিধা: বিরাম চিহ্ন দিয়ে বক্তার মনোভাব, আবেগ ইত্যাদির প্রকাশ সম্ভব।
৪. সংলাপের পৃথককরণ: বিরাম চিহ্ন ব্যবহার করে সংলাপের পৃথক পৃথক অংশ সংকেতিত করা সম্ভব।
৫. অর্থপূর্ণতা বৃদ্ধি: বিরাম চিহ্নের সঠিক ব্যবহার দিয়ে লেখার অর্থগত পূর্ণতা বাড়ানো যায়।
সংক্ষেপে, বিরাম চিহ্ন লেখাকে সহজবোধ্য ও সুন্দর করে তোলে। এজন্যই বিরাম চিহ্নের ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি।
বিরাম শব্দের অর্থ বিন্যাস, যতি, বিরতি বা থেমে যাওয়া। মানুষ একটানা কথা বলতে পারে না। তাই তাকে মাঝে মাঝে থামতে হয়।
তা ছাড়া অন্যকে কথাগুলো বোঝার সময়ও দিতে হয়। লেখার বেলায়ও তেমনি মাঝে মাঝে বিরতি দিতে হয়। কথা থামাতে হয় শ্বাস নেবার জন্য। লেখা থামাতে বাক্যে ব্যবহৃত হয় নানা রকম চিহ্ন বা সংকেত। এই চিহ্ন বা সংকেতই বিরামচিহ্ন।
বিরাম চিহ্ন কে কি বলে? একে যতি চিহ্ন বা ছেদ-চিহ্নও বলা হয়ে থাকে। বিরামচিহ্ন ব্যবহারের ফলে বাক্যের অর্থ সুস্পষ্ট হয়।
অন্যভাবে আমরা বিরাম চিহ্ন কি? তা বলতে পারি, অর্থগ্রাহ্যতা বা জিজ্ঞাসা, বিস্ময় ইত্যাদি মনোভাব প্রকাশের জন্য বাক্যে যে সব বিরতি চিহ্ন বা মনোভাব জ্ঞাপন চিহ্ন ব্যবহৃত হয় সেগুলোকে বিরাম চিহ্ন বলে।
বিরাম চিহ্ন কাকে বলে :-
লিখিত বাক্যে অর্থ সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করে মানুষের আবেগ, অনুভূতি ইত্যাদি ব্যক্ত করার জন্য যে চিহ্নসমূহ ব্যবহার করা হয় তাকে বিরামচিহ্ন বলে।অন্যভাবে আমরা বিরাম চিহ্ন কি? তা বলতে পারি, অর্থগ্রাহ্যতা বা জিজ্ঞাসা, বিস্ময় ইত্যাদি মনোভাব প্রকাশের জন্য বাক্যে যে সব বিরতি চিহ্ন বা মনোভাব জ্ঞাপন চিহ্ন ব্যবহৃত হয় সেগুলোকে বিরাম চিহ্ন বলে।
বিরাম চিহ্ন এর উদাহরণ :-
আমি তাহার হাতখানি তুলিয়া ধরিয়া বলিলাম মালবিকা আমার উপর রাগ করিয়ো না আমি তোমার সত্যে কখনো আঘাত করিব না আমি যে তোমার সত্যের বাঁধনে বাঁধাআরও পড়ুন :- অনুবাদ কি? এর কাজ?
উপরোক্ত এই বাক্যের অর্থ সুস্পষ্ট নয়। কিন্তু যদি আমরা এখানে বিরাম চিহ্নের ব্যবহার করি তবে বাক্যের অর্থ সুস্পষ্ট হবে।
আমি তাহার হাতখানি তুলিয়া ধরিয়া বলিলাম "হৈম আমার উপর রাগ করিয়ো না। আমি তোমার সত্যে কখনো আঘাত করিব না, আমি যে তোমার সত্যের বাঁধনে বাঁধা:।
বিরাম চিহ্ন কয়টি ও কি কি :-
নীচে বিভিন্ন প্রকার বিরাম চিহ্নের নাম ও আকৃতি দেখানো হলো :- বিরামচিহ্নের নাম
- দাঁড়ি
- জিজ্ঞাসাচিহ্ন
- বিষয়চিহ্ন
- কমা
- সেমিকোলন
- কোলন
- কোলন ড্যাশ
- ড্যাশ
- হাইফেন
- উদ্ধরণচিহ্ন / উদ্ধৃতিচিহ্ন
- বন্ধনী চিহ্ন
- বিকল্প চিহ্ন
- ইলেক/ লোপচিহ্ন / ঊর্ধ্বকমা
বাক্যের শেষে ব্যবহৃত বিরামচিহ্নগুলো হচ্ছে দাঁড়ি (।) জিজ্ঞাসাচিহ্ন (?) ও বিষয়চিহ্ন (!)।
দাঁড়ি (।) :-
বক্তার বা লেখকের মনোভাবের সমাপ্তি বোঝাতে বাক্যের শেষে দাঁড়ি বা পূর্ণচ্ছেদ বসে। যেমন:
আমরা বাংলাদেশে বাস করি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নাম নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী।
আরও পড়ুন :- এককথায় প্রকাশ কি?
জিজ্ঞাসাচিহ্ন (?) :-
বক্তার মনে যদি কোনো কিছু জানার আগ্রহ থাকে, তবে তা জানতে বাক্যের শেষে প্রশ্নচিহ্ন বা জিজ্ঞাসাচিহ্ন বসে।
যেমন :
তোমার নাম কী?
তুমি কি কাউকে ভালোবাসো?
বিষয়চিহ্ন (!)
বক্তার মনের বিভিন্ন আবেগ যেমন: আনন্দ, বেদনা, দুঃখ, ভয়, ঘৃণা ইত্যাদি প্রকাশ করতে এবং পদের পরে বিষয়চিহ্ন বা সম্বোধনচিহ্ন বসে।
যেমন:
আহা! কী সুন্দর দৃশ্য।
মাগো! তুমি কখন এলো।
বাক্যের মধ্যে ব্যবহৃত বিরাম চিহ্নগুলো হচ্ছে -
কমা (,), সেমিকোলন (;), কোলন (:), হাইফেন (--), ড্যাশ (-), ঊর্ধ্বকমা ('), উদ্ধৃতিচিহ্ন (""), বিকল্প চিহ্ন (/)
কমা (,) :-
বাক্যের মধ্যে অল্প বিরতির জন্য কমা ব্যবহৃত হয়। বাক্যে অনেক ক্ষেত্রে কমা বসে। যেমন-
ক) বাক্য উচ্চারণ কালে সুস্পষ্টতা বা অর্থ বিভাগ দেখানোর জন্য যেখানে স্বল্প বিরতির দরকার, সেখানে কমা ব্যবহৃত হয়।
যেমন- সুখ চাও, সুখ পাবে পরিশ্রমে।
(খ) পরস্পর সম্বন্ধ যুক্ত অনেকগুলো বিশেষ্য বা বিশেষণ পদ একসঙ্গে বসলে শেষের পদটি ছাড়া অন্যান্য পদ গুলোর পরে কমা বসে।
যেমন: সুখ, দুঃখ, আশা, নৈরাশ্য একই মালিকার পুষ্প।
গ) সম্বোধন পদের পরে কমা বসে।
যেমন নিপা, এদিকে তাকাও।
ঘ) উদ্ধরণ চিহ্নের আগে কমা বসে।
যেমন- রনি বলল, “কাল স্কুল খুলবে।"
ঙ) মাসের তারিখ, বার এবং মাসের পর কমা বসে।
যেমন- ৮ই মাঘ, বুধবার, ১৩৭৫ সাল।
আরও পড়ুন :- অনুধাবন কি ভাবে পরিক্ষা করে?
চ) রাস্তার বা বাড়ি নম্বরের পরে কমা বসে।
যেমন- ৯, ইকবাল রোড, ঢাকা ১২০৭।
ছ) সমজাতীয় বা একজাতীয় একাধিক পদ পরপর বসালে কমা বসে।
যেমন- পদ্মা, মেঘনা, যমুনা আর ব্রহ্মপুত্র আমাদের বড় নদী।
জ) এক ধরনের পদ যদি জোড়ায় জোড়ায় থাকে তবে প্রতি জোড়াকে আলাদা করার জন্য কমা বসে।
যেমন- মামা-মামি, চাচা-চাচি, ফুফা-ফুফি আমাদের সঙ্গে বনভোজনে গিয়েছিলেন।
ক) এক ধরনের একাধিক বাক্যাংশকে আলাদা করতে কমা বসে।
যেমন- আমাদের আছে স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহিদ দিবস, নজরুল-জয়ন্তী, রবীন্দ্র জয়ন্তী।
সেমিকোলন (;) :-
সাধারণত কমার চেয়ে যদি বেশি বিরতির প্রয়োজন হয় তাহলে সেমিকোলন বসে।
যেমন- পিতা-মাতার স্নেহের বন্ধনে আবদ্ধ আমরা; এ বন্ধন কি কখনো ছিন্ন করা যায়?
কোলন (:) :-
কোলন সাধারণত ব্যবহৃত হয় একটি সম্পূর্ণ বাক্যের পরে অন্য একটি বাক্যের অবতারণা করার জন্য।
যেমন - আজ স্কুলে সিদ্ধান্ত হলো: এক মাস পরে আমাদের পরীক্ষা হবে।
কোলন ড্যাশ (:-) :-
কোলন ড্যাশ ব্যবহৃত হয় উদাহরণ বা দৃষ্টান্ত প্রয়োগের ক্ষেত্রে।
যেমন- উৎসের দিক থেকে শব্দ পাঁচ প্রকার:- তৎসম শব্দ, অর্ধ-তৎসম শব্দ, তদ্ভব শব্দ, দেশি শব্দ ও বিদেশি শব্দ।
ড্যাশ (--) :-
ড্যাশচিহ্ন ব্যবহৃত হয় যৌগিক ও মিশ্র বাক্যে মধ্যে দুই বা তার বেশি বাক্যের সংযোগ বোঝাতে।
যেমন - তুমি অসহায় লোকেদের উপকার কর-- এতে তোমার সম্মান যাবে না বরং বাড়বে।
হাইফেন (-) :-
যেসব পদ সমাসবদ্ধ থাকে তাদের অংশগুলো আলাদা করে দেখানোর জন্য হাইফেন ব্যবহৃত হয়।
যেমন- এ আমাদের শ্রদ্ধা-অভিনন্দন, আমাদের প্রীতি-উপহার।
উদ্ধরণ চিহ্ন (" ") :-
বক্তার নিজের বা নিজস্ব উক্তিকে উদ্ধরণ চিহ্নের সাহায্য দেখানো হয়।
যেমন- শিক্ষক বললেন, “গতকাল জাপানে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছে।"
বন্ধনী-চিহ্ন (), {}, [] :-
বন্ধনী চিহ্ন গণিতশাস্ত্রে ব্যবহৃত হয়। তবে প্রথম বন্ধনীটি বিশেষ ব্যাখ্যামূলক অর্থে সাহিত্যে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেমন- তিনি ত্রিপুরায় (বর্তমানে কুমিল্লা) জন্মগ্রহণ করেন।
চ) রাস্তার বা বাড়ি নম্বরের পরে কমা বসে।
যেমন- ৯, ইকবাল রোড, ঢাকা ১২০৭।
ছ) সমজাতীয় বা একজাতীয় একাধিক পদ পরপর বসালে কমা বসে।
যেমন- পদ্মা, মেঘনা, যমুনা আর ব্রহ্মপুত্র আমাদের বড় নদী।
জ) এক ধরনের পদ যদি জোড়ায় জোড়ায় থাকে তবে প্রতি জোড়াকে আলাদা করার জন্য কমা বসে।
যেমন- মামা-মামি, চাচা-চাচি, ফুফা-ফুফি আমাদের সঙ্গে বনভোজনে গিয়েছিলেন।
ক) এক ধরনের একাধিক বাক্যাংশকে আলাদা করতে কমা বসে।
যেমন- আমাদের আছে স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহিদ দিবস, নজরুল-জয়ন্তী, রবীন্দ্র জয়ন্তী।
সেমিকোলন (;) :-
সাধারণত কমার চেয়ে যদি বেশি বিরতির প্রয়োজন হয় তাহলে সেমিকোলন বসে।
যেমন- পিতা-মাতার স্নেহের বন্ধনে আবদ্ধ আমরা; এ বন্ধন কি কখনো ছিন্ন করা যায়?
কোলন (:) :-
কোলন সাধারণত ব্যবহৃত হয় একটি সম্পূর্ণ বাক্যের পরে অন্য একটি বাক্যের অবতারণা করার জন্য।
যেমন - আজ স্কুলে সিদ্ধান্ত হলো: এক মাস পরে আমাদের পরীক্ষা হবে।
কোলন ড্যাশ (:-) :-
কোলন ড্যাশ ব্যবহৃত হয় উদাহরণ বা দৃষ্টান্ত প্রয়োগের ক্ষেত্রে।
যেমন- উৎসের দিক থেকে শব্দ পাঁচ প্রকার:- তৎসম শব্দ, অর্ধ-তৎসম শব্দ, তদ্ভব শব্দ, দেশি শব্দ ও বিদেশি শব্দ।
ড্যাশ (--) :-
ড্যাশচিহ্ন ব্যবহৃত হয় যৌগিক ও মিশ্র বাক্যে মধ্যে দুই বা তার বেশি বাক্যের সংযোগ বোঝাতে।
যেমন - তুমি অসহায় লোকেদের উপকার কর-- এতে তোমার সম্মান যাবে না বরং বাড়বে।
হাইফেন (-) :-
যেসব পদ সমাসবদ্ধ থাকে তাদের অংশগুলো আলাদা করে দেখানোর জন্য হাইফেন ব্যবহৃত হয়।
যেমন- এ আমাদের শ্রদ্ধা-অভিনন্দন, আমাদের প্রীতি-উপহার।
উদ্ধরণ চিহ্ন (" ") :-
বক্তার নিজের বা নিজস্ব উক্তিকে উদ্ধরণ চিহ্নের সাহায্য দেখানো হয়।
যেমন- শিক্ষক বললেন, “গতকাল জাপানে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছে।"
বন্ধনী-চিহ্ন (), {}, [] :-
বন্ধনী চিহ্ন গণিতশাস্ত্রে ব্যবহৃত হয়। তবে প্রথম বন্ধনীটি বিশেষ ব্যাখ্যামূলক অর্থে সাহিত্যে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেমন- তিনি ত্রিপুরায় (বর্তমানে কুমিল্লা) জন্মগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন :- শুদ্ধ বানান শেখার প্রয়োজন কি?
বিরাম চিহ্ন ব্যবহারের নিয়ম :-
বাংলায় বিরাম চিহ্ন ব্যবহারের কিছু নিয়ম রয়েছে:1. একটি বাক্যের শেষে বিরাম চিহ্ন (।) দিতে হবে। যেমন: আমি বাংলায় লেখালেখি শিখছি।
2. প্রশ্নবোধক বাক্যের শেষে প্রশ্নবোধক চিহ্ন (?) দিতে হবে। যেমন: তুমি কোথায় যাচ্ছ?
3. উৎসাহবোধক বাক্যের শেষে উৎসাহবোধক চিহ্ন (!) দিতে হবে। যেমন: খুব সুন্দর লেখা !
4. কমা (,) দিয়ে একে অপরের সাথে যুক্ত করা হয়। যেমন: আমি, তুমি, সে বই পড়ি।
5. দুই বা ততোধিক বাক্য মিলিয়ে যুক্তকারী যোগ করা হলে কমা (,) দেওয়া হয় এবং শেষে একটি বিরামচিহ্ন দেওয়া হয়। যেমন: আজ আমি স্কুলে যাব, তারপর বন্ধুর সাথে দেখা করব।
এইরকম নিয়ম মেনে বাংলায় বিরামচিহ্ন ব্যবহার করা হয়।
বিরাম চিহ্নের প্রয়োজনীয়তা :-
বিরাম চিহ্নের গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা:১. বাক্যের শেষ সংকেত: বিরাম চিহ্ন বাক্যের শেষ কোন অংশ তা সংকেত করে। বিনা বিরাম চিহ্নে বাক্যগুলো একই চলতে থাকে, কোথায় শেষ হল তার কোন উপায় থাকে না।
২. সঠিক পড়াশোনার সুবিধা: বিরাম চিহ্নগুলো সঠিক স্থানে ব্যবহার করলে একই লেখাটি পড়লে ভালোভাবে ও সঠিকভাবে বোঝা যায়।
৩. ভাব প্রকাশের সুবিধা: বিরাম চিহ্ন দিয়ে বক্তার মনোভাব, আবেগ ইত্যাদির প্রকাশ সম্ভব।
৪. সংলাপের পৃথককরণ: বিরাম চিহ্ন ব্যবহার করে সংলাপের পৃথক পৃথক অংশ সংকেতিত করা সম্ভব।
৫. অর্থপূর্ণতা বৃদ্ধি: বিরাম চিহ্নের সঠিক ব্যবহার দিয়ে লেখার অর্থগত পূর্ণতা বাড়ানো যায়।
সংক্ষেপে, বিরাম চিহ্ন লেখাকে সহজবোধ্য ও সুন্দর করে তোলে। এজন্যই বিরাম চিহ্নের ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি।
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.