বৈষ্ণব পদাবলী কি :-
বৈষ্ণব পদাবলী বাংলা সাহিত্যের এক মহামূল্য সম্পদ। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে বৈষ্ণব পদাবলি সাহিত্য একটি বিস্তৃত কালপর্ব জুড়ে বিন্যস্ত।'বৈষ্ণব' অর্থাৎ বিষ্ণু যাদের উপাস্য দেবতা, আর 'পদাবলী' হল পদ সমষ্টি বা গানের সমষ্টি।
প্রাক-চৈতন্যযুগে বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস এবং চৈতন্য ও চৈতন্য পরবর্তী যুগে গোবিন্দদাস, জ্ঞানদাস বিশেষভাবে খ্যাতিমান হলেও আরও বহু কবি বৈষ্ণব ধর্মাশ্রিত পদ লিখেছেন। তবে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে পদাবলী চর্চার এই ইতিহাস চৈতন্যের ধর্মান্দোলনের পরই এই বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল বেশি।
বৈষ্ণব পদাবলীর মূল বিষয়বস্তু হল কৃষ্ণের লীলা এবং মূলত মাধুর্যলীলা। রাধাকৃষ্ণলীলাকথাই প্রধানত পদাবলীর মূল বিষয়বস্তু। এখানে সখ্য ও বাৎসল্যরসের পদ সংখ্যায় বেশি।
আরও পড়ুন :- চর্যাপদ কি? এর পদকর্তা ?
বৈষ্ণব পদাবলী সম্পর্কে বলতে গিয়ে অসিত কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন,
'বাংলার বৈষ্ণব পদাবলী মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যকে গতানুগতিক জীবনের ক্লান্ত রোমন্থন হইতে রক্ষা করিয়াছে, মঙ্গলকাব্যের ভূমিচারী কল্পনাকে ভৌম বৃন্দাবনে উধাও হইতে সাহায্য করিয়াছে এবং অনুবাদ সাহিত্যের পুনরাবৃত্তির স্রোতকে নিত্য নব নব প্রাণ-চাঞ্চল্যে পূর্ণ করিয়াছে।"
বৈষ্ণব পদাবলীর বৈশিষ্ট্য :-
বৈষ্ণব পদাবলীর কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ:• ভক্তিমূলক - বৈষ্ণব পদাবলীতে ভগবান কৃষ্ণের প্রতি অত্যন্ত ভক্তি ও আনুগত্য দেখা যায়। বৈষ্ণব কবিরা নিজেদের কৃষ্ণের ‘দাস’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
• আধ্যাত্মিকতা - বৈষ্ণব পদাবলীতে অত্যন্ত আধ্যাত্মিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। এখানে কৃষ্ণের প্রেম, ভক্তি, জ্ঞানসহ বিভিন্ন ধার্মিক বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
• দাম্পত্য প্রেম - বৈষ্ণব পদাবলীতে কৃষ্ণ-রাধার মধুর দাম্পত্য প্রেমকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
• গীতিময়তা - বৈষ্ণব পদাবলীগুলি অত্যন্ত গীতিময়, যা পাঠকদের কাছে সুপরিচিত।
• প্রকৃতি বর্ণনা - বৃন্দাবনের রমণীয় প্রকৃতির বর্ণনাও বৈষ্ণব পদাবলীতে প্রচুর পরিমাণে দেখা যায়।
• দ্বৈতবাদ প্রত্যাখ্যান - বৈষ্ণব কবিরা দ্বৈতবাদকে প্রত্যাখ্যান করে একাদ্বৈতবাদে বিশ্বাস করেন। তাঁরা মনে করেন ঈশ্বর এবং জীব একই তত্ত্ব।
• রাধা-কৃষ্ণের মিলনকে গুরুত্ব - রাধা-কৃষ্ণের প্রেম ও মিলনকে বৈষ্ণব কবিরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছেন। তাদের কাছে এটি ছিল পরম প্রেমের প্রতীক।
• ভাবুকতা - বিরহ, বিয়োগ এবং অভাবের কথা তুলে বৈষ্ণব কবিরা খুব ভাবুকভাবে কথা বলেছেন।
• প্রলাপময়তা - বৈষ্ণব পদাবলীতে ব্যক্তিগত অনুভূতির প্রকাশ লক্ষণীয়।
বৈষ্ণব পদকর্তাগণ :-
বৈষ্ণব পদাবলি বৈষ্ণব সমাজে মহাজন পদাবলি এবং বৈষ্ণব পদকর্তাগণ মহাজন নামে পরিচিত। বৈষ্ণব পদাবলি সাহিত্যে বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস, জ্ঞানদাস, গোবিন্দদাস ছাড়াও যশোরাজ খান, চাঁদকাজী, রামচন্দ্র বসু, বলরাম দাস, নরহরি দাস, বৃন্দাবন দাস, বংশীবদন, বাসুদেব, অনন্ত দাস, লোচন দাস, শেখ কবির, সৈয়দ সুলতান, হরহরি সরকার, ফতেহ পরমানন্দ, ঘনশ্যাম দাশ, গয়াস খান, আলাওল, দীন চণ্ডীদাস, চন্দ্রশেখর, হরিদাস, শিবরাম, করম আলী, পীর মুহম্মদ, হীরামনি, ভবানন্দ প্রমুখ উল্লেখযোগ্য কবি।বিদ্যাপতি :-
বিদ্যাপতি মিথিলার মধুবনী মহকুমার ‘বিসফী’ গ্রামের ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন চতুর্দশ শতাব্দীর শেষ ভাগে। তাঁর পিতার নাম গণপতি ঠক্কর, ঠকুর ছিল তাদের উপাধি। তিনি মিথিলার রাজসভার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। হিন্দুধর্মের পঞ্চদেবতার উপাসক ছিলেন, যদিও তাঁরা ছিলেন শৈব।আরও পড়ুন :- শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের কাহিনি ও কবিগণ?
বিদ্যাপতির নানা রচনা :-
বিদ্যাপতি-রচিত বিভিন্ন গ্রন্থগুলি হলো কীর্তিলতা (১৪০২-১৪০৪), ভূপরিক্রমা (১৪০০), পুরুষ পরিক্রমা (১৪১৮), কীর্তিপতাকা (১৪১৮), লিখনাবলী (১৪৩৮), শৈব সর্বস্বহার ও গঙ্গাবাক্যাবলী (১৪৩০-৪০), বিভাগসার, দানবাক্যাবলী ও দুর্গাভক্তিতরঙ্গিণী (১৪৪০-১৪৬০)। এই গ্রন্থগুলির বিষয় বৈচিত্র্য বিদ্যাপতির বহুমুখী পাণ্ডিত্যকে তুলে ধরেছে।
বৈষ্ণব পদাবলী রচনায় বিদ্যাপতি :-
বিদ্যাপতির প্রধান কৃতিত্ব রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক পদ রচনায়, যা বৈষ্ণব পদাবলী নামে সুপরিচিত। অলংকার নিষ্ঠ বিদ্যাপতি পূর্বরাগ থেকে ভাবসম্মিলন পর্যন্ত নানা রস পর্যায়ের মধ্য দিয়ে, অভিসার, বিরহ, মিলন লীলার চমৎকার বর্ণনা দিয়েছেন।
বৈষ্ণব পদাবলী রচনায় তিনি প্রধানত জয়দেবের 'গীতগোবিন্দের’ দ্বারা প্রভাবিত। একারণেই 'অভিনব জয়দেব' রূপে তিনি আখ্যাত হয়েছিলেন। বিদ্যাপতির আধ্যাত্মিক অনুভব, ভক্তি তন্ময়তার সার্থক নিদর্শন 'নিবেদন' ও '‘প্রার্থনার' পদগুলি উপলদ্ধির গভীরতায় কাব্যরস মণ্ডিত হয়েছে।
জনশ্রুতি অনুসারে বীরভূম জেলার নান্নুর গ্রামে চণ্ডীদাস বাস করতেন। চণ্ডীদাসের রাধিকা প্রথম থেকেই কৃষ্ণগত প্রাণা। চণ্ডীদাস 'পূর্বরাগ ও আক্ষে পানুরাগ’ এর শ্রেষ্ঠ কবি।
জ্ঞানদাস বাংলা, ব্রজবুলি, বাংলা ব্রজবুলি এই তিনটি ভাষায় 'শ্রীকৃষ্ণের বাল্যলীলা ও অন্যান্য রসপর্যায়ের পদ রচনা করলেও প্রতিভার পূর্ণায়ত প্রকাশ ঘটেছে পূর্বরাগ, অনুরাগ, রূপানুরাগ ও রসোদগারের পদে।
জ্ঞানদাস অনুভবকে, উপলব্ধিকে পাঠকের মনে, ইন্দ্রিয়ের দুয়ারে উপস্থিত করতে পেরেছিলেন সহজেই। জ্ঞানদাসের রোমান্টিক কবিধর্ম কৃষ্ণপ্রেমে ব্যাকুলা রাধিকার রূপছবি নিৰ্মিতিতে তন্নিষ্ঠ করেছে।
গোবিন্দদাসের রাধা অভিসার যাত্রার জন্য, শরীরে মনে, বিপুল উৎসাহে তৈরি হয়েছেন। অভিসার পর্যায়ে পদ ছাড়াও রাসলীলা বিষয়ক পদেও গোবিন্দদাসের কৃতিত্ব দেখা যায়। রাগানুগা ভক্তিভাবে ভাবিত গোবিন্দদাসের বিরহের পদগুলিতে মঞ্জরী ভাবের প্রকাশ ঘটেছে।
বল্লভদাস তাঁর পদে বলেছিলেন 'গোবিন্দ দ্বিতীয় বিদ্যাপতি'। বিদ্যাপতির মতো গোবিন্দদাস ও ছিলেন বিদগ্ধ কবি। বিদ্যাপতি প্রথমে জীবন রসিক কবি, অন্যদিকে গোবিন্দদাস প্রথমে ভক্তসাধক।
‘পদকল্পতরু’ গ্রন্থে বলরাম দাসের বহু পদ সংস্কলিত হয়েছে। বালক কৃষ্ণ, স্নেহময়ী মাতা যশোদা ও কৃষ্ণের আবেগ অভিমান তাঁর পদগুলিকে শিল্প সুষমা দান করেছে।
কৃষ্ণসখা শ্রীদাম, সুদামের সঙ্গে গোচারণ ক্ষেত্রে যাওয়া যাওয়ার আগে মায়ের অনুমতি প্রার্থনা সবই আন্তরিক ভঙ্গীতে ধরা পড়েছে।
বিদ্যাপতির নানা রচনা :-
বিদ্যাপতি-রচিত বিভিন্ন গ্রন্থগুলি হলো কীর্তিলতা (১৪০২-১৪০৪), ভূপরিক্রমা (১৪০০), পুরুষ পরিক্রমা (১৪১৮), কীর্তিপতাকা (১৪১৮), লিখনাবলী (১৪৩৮), শৈব সর্বস্বহার ও গঙ্গাবাক্যাবলী (১৪৩০-৪০), বিভাগসার, দানবাক্যাবলী ও দুর্গাভক্তিতরঙ্গিণী (১৪৪০-১৪৬০)। এই গ্রন্থগুলির বিষয় বৈচিত্র্য বিদ্যাপতির বহুমুখী পাণ্ডিত্যকে তুলে ধরেছে।
বৈষ্ণব পদাবলী রচনায় বিদ্যাপতি :-
বিদ্যাপতির প্রধান কৃতিত্ব রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক পদ রচনায়, যা বৈষ্ণব পদাবলী নামে সুপরিচিত। অলংকার নিষ্ঠ বিদ্যাপতি পূর্বরাগ থেকে ভাবসম্মিলন পর্যন্ত নানা রস পর্যায়ের মধ্য দিয়ে, অভিসার, বিরহ, মিলন লীলার চমৎকার বর্ণনা দিয়েছেন।
বৈষ্ণব পদাবলী রচনায় তিনি প্রধানত জয়দেবের 'গীতগোবিন্দের’ দ্বারা প্রভাবিত। একারণেই 'অভিনব জয়দেব' রূপে তিনি আখ্যাত হয়েছিলেন। বিদ্যাপতির আধ্যাত্মিক অনুভব, ভক্তি তন্ময়তার সার্থক নিদর্শন 'নিবেদন' ও '‘প্রার্থনার' পদগুলি উপলদ্ধির গভীরতায় কাব্যরস মণ্ডিত হয়েছে।
চণ্ডীদাস :-
প্ৰাক্-চৈতন্যযুগেই নয়— মধ্যযুগের পদাবলী সাহিত্যে চণ্ডীদাস একটি বিশেষ স্থানে অধিষ্ঠিত। সহজ-সরল ভাষায়, প্রেমের আনন্দ মথুর বেদনাকে, রস সমৃদ্ধ করেছেন কবি চণ্ডীদাস।জনশ্রুতি অনুসারে বীরভূম জেলার নান্নুর গ্রামে চণ্ডীদাস বাস করতেন। চণ্ডীদাসের রাধিকা প্রথম থেকেই কৃষ্ণগত প্রাণা। চণ্ডীদাস 'পূর্বরাগ ও আক্ষে পানুরাগ’ এর শ্রেষ্ঠ কবি।
জ্ঞানদাস :-
চৈতন্যোত্তর পর্বের বৈষ্ণব পদকারদের মধ্যে জ্ঞানদাস অন্যতম। নিত্যানন্দের পত্নী জাহ্নবাদেবীর শিষ্য ছিলেন জ্ঞানদাস। কাটোয়ার দশ মাইল পশ্চিমে কাঁদড়া গ্রামে ব্রাহ্মণ বংশে ১৫৩০ খ্রী: জন্মগ্রহণ করেন কবি।জ্ঞানদাস বাংলা, ব্রজবুলি, বাংলা ব্রজবুলি এই তিনটি ভাষায় 'শ্রীকৃষ্ণের বাল্যলীলা ও অন্যান্য রসপর্যায়ের পদ রচনা করলেও প্রতিভার পূর্ণায়ত প্রকাশ ঘটেছে পূর্বরাগ, অনুরাগ, রূপানুরাগ ও রসোদগারের পদে।
জ্ঞানদাস অনুভবকে, উপলব্ধিকে পাঠকের মনে, ইন্দ্রিয়ের দুয়ারে উপস্থিত করতে পেরেছিলেন সহজেই। জ্ঞানদাসের রোমান্টিক কবিধর্ম কৃষ্ণপ্রেমে ব্যাকুলা রাধিকার রূপছবি নিৰ্মিতিতে তন্নিষ্ঠ করেছে।
গোবিন্দদাস :-
গৌড়ীয় বৈষ্ণব দর্শনানুসারী 'রাগানুগা' ভক্তিই গোবিন্দদাসের পদাবলীর প্রধান অবলম্বন। কাটোয়ার শ্রীখণ্ডে মাতুলালয়ে তাঁর জন্ম। তাঁর পিতা চিরঞ্জীব, মাতা সুনন্দা। কবির পিতা শ্রীচৈতন্যদেবের ভক্ত ছিলেন।
খেতুরীর বৈষ্ণব সম্মেলনে গোবিন্দদাসের রচিত পদ কীর্তনের আসরে গীত হয়েছিল এবং বৈষ্ণব আচার্যগণ তাঁর রচনায় অকুন্ঠ প্রশংসা করেছিলেন।
গোবিন্দদাস, গৌরলীলা ও রাধাকৃষ্ণলীলা উভয় বিষয়কে অবলম্বন করে অজস্র পদ রচনা করেছেন, একান্ত আন্তরিকতা নিয়ে।
অভিসার পর্যায়ের পদে গোবিন্দদাসের কবি প্রতিভার পূর্ণ প্রকাশ প্রত্যক্ষ করা যায়। ‘উজ্জ্বল নীলমনি' অনুসরণ করে কবি অভিসারকে বিভিন্ন পর্ব প্রকরণে বিন্যস্ত করেছেন।
খেতুরীর বৈষ্ণব সম্মেলনে গোবিন্দদাসের রচিত পদ কীর্তনের আসরে গীত হয়েছিল এবং বৈষ্ণব আচার্যগণ তাঁর রচনায় অকুন্ঠ প্রশংসা করেছিলেন।
গোবিন্দদাস, গৌরলীলা ও রাধাকৃষ্ণলীলা উভয় বিষয়কে অবলম্বন করে অজস্র পদ রচনা করেছেন, একান্ত আন্তরিকতা নিয়ে।
অভিসার পর্যায়ের পদে গোবিন্দদাসের কবি প্রতিভার পূর্ণ প্রকাশ প্রত্যক্ষ করা যায়। ‘উজ্জ্বল নীলমনি' অনুসরণ করে কবি অভিসারকে বিভিন্ন পর্ব প্রকরণে বিন্যস্ত করেছেন।
আরও পড়ুন :- সারমর্ম বা সারাংশ কি?
গোবিন্দদাসের রাধা অভিসার যাত্রার জন্য, শরীরে মনে, বিপুল উৎসাহে তৈরি হয়েছেন। অভিসার পর্যায়ে পদ ছাড়াও রাসলীলা বিষয়ক পদেও গোবিন্দদাসের কৃতিত্ব দেখা যায়। রাগানুগা ভক্তিভাবে ভাবিত গোবিন্দদাসের বিরহের পদগুলিতে মঞ্জরী ভাবের প্রকাশ ঘটেছে।
বল্লভদাস তাঁর পদে বলেছিলেন 'গোবিন্দ দ্বিতীয় বিদ্যাপতি'। বিদ্যাপতির মতো গোবিন্দদাস ও ছিলেন বিদগ্ধ কবি। বিদ্যাপতি প্রথমে জীবন রসিক কবি, অন্যদিকে গোবিন্দদাস প্রথমে ভক্তসাধক।
বলরাম দাস :-
বলরাম দাস সখ্য ও বাৎসল্য রসের পদরচনায় বিশেষ কৃতিত্বের সাক্ষর রেখেছেন। বলরাম দাসের অদিনিবাস ছিল শ্রীহট্টে।‘পদকল্পতরু’ গ্রন্থে বলরাম দাসের বহু পদ সংস্কলিত হয়েছে। বালক কৃষ্ণ, স্নেহময়ী মাতা যশোদা ও কৃষ্ণের আবেগ অভিমান তাঁর পদগুলিকে শিল্প সুষমা দান করেছে।
কৃষ্ণসখা শ্রীদাম, সুদামের সঙ্গে গোচারণ ক্ষেত্রে যাওয়া যাওয়ার আগে মায়ের অনুমতি প্রার্থনা সবই আন্তরিক ভঙ্গীতে ধরা পড়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.