অনুধাবন কি :-
কোনো বিষয় সম্পর্কে পাঠ করে তার মূল ভাব-বস্তুকে বুঝতে পারার ক্ষমতাকে অনুধাবন দক্ষতা বলে।যার অনুধাবন দক্ষতা যত বেশি, সে একটি বিষয় তত দ্রুত বুঝতে পারে। অনুধাবন দক্ষতা যে কোনো বিষয়কে ভালোভাবে আয়ত্ত করতে সাহায্য করে।
কোনো বিষয় না-বুঝে মুখস্থ করলে তা বেশি দিন মনে থাকে না। বিষয়টি বুঝে তার চর্চা করলে তা স্থায়ী হয়। এভাবে বোঝা লেখার চর্চা করাই হলো অনুধাবন।
আরও পড়ুন :- অপিনিহিতি কি? এর কাজ?
অনুধাবন দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত চর্চা করতে হয়। বিষয়টি পূর্ণাঙ্গভাবে বোঝার জন্য শব্দের অর্থ, বাক্য এবং বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে।
অনুধাবন পরীক্ষা :-
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :-১. দিনের বেলা সোনার থালার মতো সূর্য তার কিরণ ছড়ায় চারপাশে। এমনি সময়ে সচরাচর আকাশ নীল। কখনো সাদা বা কালো মেঘে ঢেকে যায়। ভোরে বা সন্ধ্যায় আকাশের কোনো কোনো অংশে নামে রঙের বন্যা। কখনো বা সারা আকাশ ভেসে যায় লাল আলোয়। রাতের আকাশ সচরাচর কালো হয়, কিন্তু সেই কালো চাঁদোয়ার গায়ে জ্বলতে থাকে রুপালি চাঁদ আর অসংখ্য ঝকঝকে তারা ও গ্রহ।
আরও পড়ুন :- এককথায় প্রকাশ বলতে কি বুঝায়?
- দিনের বেলা আকাশের রং কেমন থাকে?
- রাতের বেলা আকাশে চাঁদ ও তারা দেখা যায় কেন?
- দিন ও রাতের আকাশে রঙের যে পার্থক্য দেখা যায় তা লেখ।
- তোমার দেখা আকাশের সঙ্গে অনুচ্ছেদের আকাশের মিল কোথায়?
- খালি চোখে দেখা আকাশ আর অনুচ্ছেদে বর্ণিত আকাশ কি একই? ব্যাখ্যা কর।
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে অনুধাবন পরীক্ষা কর বা প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :-
২. কলকাতার এক নোংরা বস্তিতে মাদার তেরেসা প্রথম স্কুল খুললেন। বেঞ্চ-টেবিল কিছু নেই, মাটিতে দাগ কেটে শিশুদের শেখাতে লাগলেন বর্ণমালা। অসুস্থদের সেবার জন্য খুললেন চিকিৎসাকেন্দ্র। ধীরে ধীরে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন অনেক মানুষ। মাদার তেরেসার কাজের পরিধি ক্রমাগত বেড়ে চলল। তাঁর সঙ্গে যোগ দিলেন আরও অনেকে। তাঁদের নিয়ে তিনি গড়লেন মানবসেবার সংঘ ‘মিশনারিজ অফ চ্যারিটি'।
- মাদার তেরেসার গঠিত সংঘটির নাম কী?
- মাদার তেরেসাকে কেন মানুষ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল?
- মাদার তেরেসা কীভাবে মানবসেবায় এগিয়ে আসলেন? সংক্ষেপে বুঝিয়ে দাও।
- মানবসেবার জন্য অর্থের দরকার নাই, দরকার সদিচ্ছা'- উক্তিটি বুঝিয়ে দাও।
- মাদার তেরেসার এই কাজ কী নামে অভিহিত করা যায়?
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে অনুধাবন পরীক্ষার উত্তর দাও :-
আরও পড়ুন :- অনুসর্গ কাকে বলে?
রাজার দল এখন আর নেই। গুপ্ত-খড়্গ, পাল-সেন, পাঠান-মুঘল, কোম্পানি রানি এদের কাল শেষ হয়েছে। আজকের দুই কবিও হয়তো দুই প্রান্তে বসে কবিতা লিখছেন। একজন লিখছেন সমৃদ্ধির কথা, বিলাসের কথা, আনন্দের কথা; আরেকজন ছবি আঁকছেন নিদারুণ অভাবের, জ্বালাময় দারিদ্র্যের অপরিসীম বেদনার।
- কীসের দল এখন আর নেই?
- কাদের দিন শেষ হয়েছে? কেন?
- দুই কবির মিল কোন দিক থেকে? ব্যাখ্যা কর।
- 'দুই কবির মধ্যে মিল থাকা সত্ত্বেও বিস্তর ব্যবধান। বুঝিয়ে দাও।
- দ্বিতীয় কবির ভাবনার একটি উদহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও।
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.