অর্থ হলো শব্দের প্রাণ। এক বা তার অধিক ধ্বনির সমন্বয়ে যদি কোনো নির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশ পায় তবে তাকে শব্দ বলে।
শব্দের উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়: ক্+অ+ল+অ+ম্ = ধ্বনি। এ ধ্বনি পাঁচটির মিলিত রূপ হলো 'কলম'। 'কলম' এমন একটি বস্তুকে বোঝাচ্ছে, যা দিয়ে লেখা যায়। 'কলম'- 'ক', 'ল', 'ম' ধ্বনিসমষ্টির মিলিত রূপ, যা অর্থপূর্ণ। সুতরাং 'কলম' একটি শব্দ।
এ রকম : আমি, বাজার, যাই ইত্যাদিও শব্দ। এগুলোর আলাদা আলাদা অর্থ আছে। কিন্তু এ রকম আলাদা আলাদা শব্দ মনের ভাব সম্পূর্ণ প্রকাশ করতে পারে না। তাই অর্থপূর্ণ শব্দ জুড়ে জুড়ে মানুষ তার মনের ভাব সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করে থাকে।
যেমন - "আমি বাজারে যাই।" এটি একটি বাক্য। এখানে বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণ প্রকাশ পেয়েছে।
আরও পড়ুন :- পদ কাকে বলে ও কত প্রকার?
অন্য একটি উদাহরণ হিসেবে বললে বাক্যের মধ্যে কতকগুলি শব্দ থাকে। যেমন - 'গাছে অনেক ফুল ফুটেছে'; এখানে- গাছে , অনেক, ফুল ও ফুটেছে , এখানে এই চারটি শব্দ।
এখন শব্দ কি বা কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি? তা আলোচনা করা যাক।
আর্থিক দিক: শব্দের আর্থিক দিক বলতে শব্দের সাথে যুক্ত অর্থ বোঝায়। একই শব্দের বিভিন্ন অর্থ থাকতে পারে।
উচ্চারণগত দিক: একই শব্দকে বিভিন্নভাবে উচ্চারণ করা যেতে পারে। এটি শব্দের উচ্চারণগত বৈশিষ্ট্য।
বানানগত দিক: শব্দকে সঠিকভাবে লিখার বা বানান করার নিয়ম আছে যা শব্দের বানানগত বৈশিষ্ট্য।
ব্যাকরণগত দিক: একই শব্দ বিভিন্ন ব্যাকরণগত কাজে ব্যবহৃত হতে পারে (যেমন সন্ধি, বাক্য গঠন)।
শৈলীগত দিক: ভাষার বৈশিষ্ট্য, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য অনুযায়ী শব্দের বিভিন্ন শৈলী দেখা যায়।
এই সব দিক বিবেচনা করে শব্দের বৈশিষ্ট্য বুঝা যায়।
১. মানুষের চিন্তাভাবনা প্রকাশের মাধ্যম: ভাষার মাধ্যমে মানুষ নিজের চিন্তা-ভাবনা, অনুভূতি প্রকাশ করে। এজন্য শব্দ অত্যন্ত জরুরি।
২. যোগাযোগের মাধ্যম: অন্যকে বুঝতে এবং তার সাথে যোগাযোগ সাধনে শব্দ সহায়ক।
৩. সংস্কৃতির বহনকারী: কোন জাতির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বহন শব্দের মাধ্যমেই সম্ভব।
৪. জ্ঞান অর্জনে সাহায্য করে: শব্দের সহায়তায় আমরা বিভিন্ন ধরনের জ্ঞান লাভ করতে পারি।
৫. দৃষ্টিভঙ্গি মোড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে।
সংক্ষেপে, শব্দ মানব জীবনকে সমৃদ্ধ করে। তাই এটি অত্যন্ত জরুরী।
১. মনোভাব প্রকাশ করা: বাংলা ভাষায় শব্দের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে যার মাধ্যমে মানুষ নিজের অন্তরের মনোভাব, চিন্তা-ভাবনা প্রকাশ করতে পারে।
২. সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বহনকারী: বাংলা সাহিত্যের শব্দগুলি জাতির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বহনকারী।
৩. জ্ঞানের উৎস: প্রতিদিন আমরা বাংলায় নতুন নতুন শব্দ থেকে জ্ঞান লাভ করছি।
৪. কাজের সুবিধা: বিভিন্ন কাজ-কর্মের জন্য বাংলা ভাষার যথেষ্ট শব্দ রয়েছে যেগুলো কাজে সুবিধা করে।
৫. সমাজে যোগাযোগের ভাষা: বাংলা দৈনন্দিন কথোপকথন, ভাববিনিময়ের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ভাষা হিসেবে পরিচিত।
১. শব্দ হলো একক বাচনযোগ্য ধ্বনির সমন্বয়, যেমন: চাঁদ, রাত, তারা। অন্যদিকে, পদ হলো একাধিক শব্দের সমন্বয়, যেমন: সুন্দর চাঁদ, রাত্রির তারা।
২. শব্দকে ভাঙ্গা যায় না, কিন্তু পদকে ভাঙ্গা যায়। যেমন: চাঁদ + রাত - একটি পদ।
৩. শব্দের অর্থ/বোঝার সীমা সীমিত, পদের বোঝার সীমা বিস্তৃত।
৪. শব্দ ছাড়া পদ হতে পারে না, কিন্তু শব্দ পদ ছাড়াই থাকতে পারে।
৫. শব্দটি ছাড়াই পূর্ণাঙ্গ অর্থ প্রকাশ করা যায় না, অন্যদিকে পদটি থেকেই পূর্ণাঙ্গ অর্থ বোঝা যায়।
শব্দের উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়: ক্+অ+ল+অ+ম্ = ধ্বনি। এ ধ্বনি পাঁচটির মিলিত রূপ হলো 'কলম'। 'কলম' এমন একটি বস্তুকে বোঝাচ্ছে, যা দিয়ে লেখা যায়। 'কলম'- 'ক', 'ল', 'ম' ধ্বনিসমষ্টির মিলিত রূপ, যা অর্থপূর্ণ। সুতরাং 'কলম' একটি শব্দ।
এ রকম : আমি, বাজার, যাই ইত্যাদিও শব্দ। এগুলোর আলাদা আলাদা অর্থ আছে। কিন্তু এ রকম আলাদা আলাদা শব্দ মনের ভাব সম্পূর্ণ প্রকাশ করতে পারে না। তাই অর্থপূর্ণ শব্দ জুড়ে জুড়ে মানুষ তার মনের ভাব সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করে থাকে।
যেমন - "আমি বাজারে যাই।" এটি একটি বাক্য। এখানে বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণ প্রকাশ পেয়েছে।
আরও পড়ুন :- পদ কাকে বলে ও কত প্রকার?
অন্য একটি উদাহরণ হিসেবে বললে বাক্যের মধ্যে কতকগুলি শব্দ থাকে। যেমন - 'গাছে অনেক ফুল ফুটেছে'; এখানে- গাছে , অনেক, ফুল ও ফুটেছে , এখানে এই চারটি শব্দ।
এখন শব্দ কি বা কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি? তা আলোচনা করা যাক।
শব্দ কি বা কাকে বলে :-
শব্দের সংজ্ঞা বিভিন্ন ভাষাতাত্ত্বিকগণ বিভিন্ন ভাবে দিয়েছে, তবে আমরা তিন চারটি সংজ্ঞা এখানে আলোচনা করবো।সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে -
একটা ধ্বনি, অথবা একাধিক ধ্বনির সমষ্টি, যখন কোন বস্তু বা ভাবকে প্রকাশ করে, তখন সেই ধ্বনি বা ধ্বনি - সমষ্টিকে শব্দ বলে।
অন্যভাবে বলা যায়, অর্থপ্রকাশক ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টি অথবা তার লিখিত রূপকে শব্দ বলে।
আরও পড়ুন :- শব্দ ও পদের পার্থক্য কি কি দেখাও?
অথবা আমরা শব্দ কাকে বলে এর উত্তরে বলতে পারি, এক বা একাধিক ধ্বনির সম্মিলনে তৈরি অর্থবোধক ও উচ্চারণ যোগ্য একককে বলা হয় শব্দ। অর্থাৎ ধ্বনির অর্থপূর্ণ মিলন ঘটলে তাকে শব্দ বলে।
এক বা একাধিক ধ্বনির সমন্বয়ে যদি কোনো নির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশিত হয়, তবে তাকে শব্দ বলে।
মানুষের কণ্ঠনিঃসৃত অর্থবোধক ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টিকে শব্দ বলা হয়।
নীচে এই বিভাগ গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
এদের আবার নানা ভাগ রয়েছে। নীচে এদের বিভাগ দেখানো হয়েছে।
যে শব্দকে বিশ্লেষণ করতে পারা যায় না, বা বিশ্লেষণ করলে ভাঙা অংশের কোনো অর্থ হয় না, তাকে মৌলিক শব্দ বলে। যেমন - মা, হাত, ঘোড়া— এগুলি মৌলিক শব্দ।
মৌলিক শব্দকে ‘স্বয়ংসিদ্ধ' শব্দও বলে। কারণ, মৌলিক শব্দের অর্থ স্বতঃপ্রকাশিত ও চূড়ান্ত।
সাধিত শব্দ কাকে বলে :-
যে সকল শব্দকে বিশ্লেষণ করলে মৌলিক একটি অংশ পাওয়া যায়, তাকে সাধিত শব্দ বলা হয়।
অথবা আমরা বলতে পারি, যেসব শব্দকে বিশ্লেষণ করলে আলাদা অর্থবোধক শব্দ পাওয়া যায়, সেগুলোকে সাধিত শব্দ বলে।
সাধিত মানে সাধন বা তৈরি করা হয়েছে। যেমন - অজানা = (মুগ্ধ | ধাতু জান) অ জান্ + আ তেমনি ছেলেমি, রাখালি, হাতল প্রভৃতি।
একাধিক মৌলিক শব্দের যোগেও সাধিত শব্দ তৈরি হয়, যেমন - হাতপাখা = হাত+পাখা। তেমনি - জলপথ, দিনরাত, আশা আকাঙ্ক্ষা প্রভৃতি।
যৌগিক শব্দ কাকে বলে :-
যে সমস্ত শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ এবং প্রচলিত অর্থ একই সেই সমস্ত শব্দকে যৌগিক শব্দ বলে।
যেমন - পিতা, মাতা, শিক্ষালয়, আচার্য, শিক্ষক, সকল, পদ, ঘাস প্রভৃতি হল বাংলা শব্দ ভান্ডারের তৎসম শব্দের উদাহরণ।
এই তৎসম শব্দ কে আবার অনেক ভাষাতাত্ত্বিক দুই ভাগে ভাগ করেছেন। যথা- সিদ্ধতৎসম শব্দ ও অসিদ্ধতৎসম শব্দ
সিদ্ধতৎসম শব্দ কাকে বলে :-
যেসব শব্দ বৈদিক বা সংস্কৃত সাহিত্যে পাওয়া যায় এবং যেগুলি ব্যাকরণ সিদ্ধ সেগুলিকে সিদ্ধতৎসম বলা হয়।
এই আগন্তুক শব্দ কে আমরা দুই ভাগে ভাগ করে থাকি। যথা- দেশি শব্দ ও বিদেশি শব্দ।
দেশি শব্দ :- যেসব শব্দ আমাদের দেশের অন্যান্য ভাষা থেকে সোজাসুজি বাংলা ভাষায় প্রবেশ লাভ করেছে তাকে দেশি কৃতঋণ শব্দ বা দেশি শব্দ বলে।
এই দেশি কৃতঋণ শব্দ কে আবার দুইভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে -
অন আর্য দেশি শব্দ :-
এদেশীয় অস্ট্রিক, কোল বা দ্রাবিড়, ভাষা বংশ থেকে যেসব শব্দ সরাসরি বাংলা ভাষায় এসেছে তাকে অনূ আর্য দেশি শব্দ বলে।
যেমন - ডাব, ঝাঁটা, ঝোল, ডোম, ঝিঙ্গা, কুলা, কান্দি, মুড়ি, উচ্ছে, খুকি, ইত্যাদি।
আর্য দেশি শব্দ :-
যে সকল শব্দ ভারতীয় আর্য ভাষার অন্যান্য শাখা থেকে বাংলায় এসেছে তাকে আর্য দেশি শব্দ বলা হয়।
তুর্কি শব্দ :- আলখাল্লা, কাঁচি, কাবু, কুলি, বাবুর্চি, মুচলেকা, প্রভৃতি।
একটা ধ্বনি, অথবা একাধিক ধ্বনির সমষ্টি, যখন কোন বস্তু বা ভাবকে প্রকাশ করে, তখন সেই ধ্বনি বা ধ্বনি - সমষ্টিকে শব্দ বলে।
অন্যভাবে বলা যায়, অর্থপ্রকাশক ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টি অথবা তার লিখিত রূপকে শব্দ বলে।
আরও পড়ুন :- শব্দ ও পদের পার্থক্য কি কি দেখাও?
অথবা আমরা শব্দ কাকে বলে এর উত্তরে বলতে পারি, এক বা একাধিক ধ্বনির সম্মিলনে তৈরি অর্থবোধক ও উচ্চারণ যোগ্য একককে বলা হয় শব্দ। অর্থাৎ ধ্বনির অর্থপূর্ণ মিলন ঘটলে তাকে শব্দ বলে।
এক বা একাধিক ধ্বনির সমন্বয়ে যদি কোনো নির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশিত হয়, তবে তাকে শব্দ বলে।
মানুষের কণ্ঠনিঃসৃত অর্থবোধক ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টিকে শব্দ বলা হয়।
শব্দের কত প্রকার ও কি কি :-
শব্দ কত প্রকার ও কি কি তা নিয়ে ভাষাতাত্ত্বিকদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। তবে তিন ভাবে শব্দের শ্রেণীবিভাগ করা যায়। যেমন -- গঠন অনুসারে শব্দের শ্রেণীবিভাগ।
- অর্থ অনুসারে শব্দের শ্রেণীবিভাগ।
- উৎপত্তি অনুযায়ী শব্দের শ্রেণীবিভাগ।
নীচে এই বিভাগ গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
গঠন অনুসারে শব্দ কত প্রকার ও কি কি:-
শব্দের গঠন অনুসারে বাংলা শব্দ দু প্রকার -- মৌলিক শব্দ ও
- সাধিত শব্দ।
অর্থ অনুসারে শব্দ কত প্রকার ও কি কি :-
শব্দকে অর্থের দিক দিয়ে আবার তিন ভাগে বিভক্ত করা যায় -- যৌগিক শব্দ,
- রূঢ়ি শব্দ এবং
- যোগরূঢ় শব্দ।
উৎপত্তি অনুযায়ী শব্দ কত প্রকার ও কি কি :-
শব্দকে উৎপত্তির দিক থেকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা -- তৎসম শব্দ
- অর্ধতৎসম শব্দ
- তদ্ভব শব্দ
- দেশি শব্দ ও
- বিদেশি শব্দ
এদের আবার নানা ভাগ রয়েছে। নীচে এদের বিভাগ দেখানো হয়েছে।
বিভিন্ন শব্দের সংজ্ঞা :-
মৌলিক শব্দ কাকে বলে :-যে শব্দকে বিশ্লেষণ করতে পারা যায় না, বা বিশ্লেষণ করলে ভাঙা অংশের কোনো অর্থ হয় না, তাকে মৌলিক শব্দ বলে। যেমন - মা, হাত, ঘোড়া— এগুলি মৌলিক শব্দ।
মৌলিক শব্দকে ‘স্বয়ংসিদ্ধ' শব্দও বলে। কারণ, মৌলিক শব্দের অর্থ স্বতঃপ্রকাশিত ও চূড়ান্ত।
সাধিত শব্দ কাকে বলে :-
যে সকল শব্দকে বিশ্লেষণ করলে মৌলিক একটি অংশ পাওয়া যায়, তাকে সাধিত শব্দ বলা হয়।
অথবা আমরা বলতে পারি, যেসব শব্দকে বিশ্লেষণ করলে আলাদা অর্থবোধক শব্দ পাওয়া যায়, সেগুলোকে সাধিত শব্দ বলে।
সাধিত মানে সাধন বা তৈরি করা হয়েছে। যেমন - অজানা = (মুগ্ধ | ধাতু জান) অ জান্ + আ তেমনি ছেলেমি, রাখালি, হাতল প্রভৃতি।
একাধিক মৌলিক শব্দের যোগেও সাধিত শব্দ তৈরি হয়, যেমন - হাতপাখা = হাত+পাখা। তেমনি - জলপথ, দিনরাত, আশা আকাঙ্ক্ষা প্রভৃতি।
যৌগিক শব্দ কাকে বলে :-
যে সমস্ত শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ এবং প্রচলিত অর্থ একই সেই সমস্ত শব্দকে যৌগিক শব্দ বলে।
যেমন - জলজ, বনজ, পাঠক।
রূঢ়ি শব্দ কাকে বলে :-
রূঢ়ি শব্দ কাকে বলে :-
যে সমস্ত শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থের সঙ্গে প্রচলিত অর্থের মিল নেই, সেই সমস্ত শব্দকে রুঢ়ি শব্দ বলে।
আরো স্পষ্টভাবে বললে, যে শব্দে প্রকৃতি প্রত্যয়ের কোনও অর্থই প্রকাশিত না হয়ে লোকপ্রচলিত অন্য অর্থ প্রকাশিত হয়, তাকে ‘রূঢ়' শব্দ বলে।
হরিণ শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ‘হরণকারী' কিন্তু আদৌ সে অর্থে ব্যবহার না হয়ে 'হরিণ' পশুবিশেষকে বোঝাচ্ছে। তাই হরিণ 'রূঢ়' শব্দ।
রূঢ় শব্দের অন্যান্য উদাহরণ: মাংস, লাবণ্য, শ্বশুর, মণ্ডপ, বিবাহ, পলাশ, সন্দেশ (মিষ্টান্ন অর্থে) ইত্যাদি।
যোগরূঢ় শব্দ কাকে বলে :-
যে সমস্ত শব্দে প্রচলিত অর্থ এবং ব্যুৎপত্তিগত অর্থ দুটিই বর্তমান থাকে, তবে মূল অর্থটি কিছুটা সংকুচিত থাকে, সেই শব্দকে যোগরূঢ় শব্দ বলে।
যেমন - ‘পঙ্কজ' শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ‘পঙ্কে জন্মে যা’, কিন্তু প্রচলিত অর্থ ‘পদ্ম'। ‘পদ্ম'ও পঙ্কে জন্মে, সুতরাং এই জাতীয় শব্দে দুটি অর্থই বর্তমান।
অনুরূপ উদাহরণ জলদ (ব্যুৎপত্তিগত অর্থ : জল দান করে যা, প্রচলিত অর্থ : মেঘ); রাঘব (ব্যুৎপত্তিগত অর্থ : রঘুবংশজাত, প্রচলিত অর্থ : রামচন্দ্র)।
তৎসম শব্দ কাকে বলে :-
যে সমস্ত শব্দ প্রাচীন ভারতীয় আর্য বা সংস্কৃত ভাষা থেকে সরাসরি বাংলা ভাষায় এসেছে এবং অবিকৃত রূপে বাংলা ভাষায় টিকে আছে সেই সমস্ত শব্দ কে তৎসম শব্দ বলা হয়।
আরো স্পষ্টভাবে বললে, যে শব্দে প্রকৃতি প্রত্যয়ের কোনও অর্থই প্রকাশিত না হয়ে লোকপ্রচলিত অন্য অর্থ প্রকাশিত হয়, তাকে ‘রূঢ়' শব্দ বলে।
হরিণ শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ‘হরণকারী' কিন্তু আদৌ সে অর্থে ব্যবহার না হয়ে 'হরিণ' পশুবিশেষকে বোঝাচ্ছে। তাই হরিণ 'রূঢ়' শব্দ।
রূঢ় শব্দের অন্যান্য উদাহরণ: মাংস, লাবণ্য, শ্বশুর, মণ্ডপ, বিবাহ, পলাশ, সন্দেশ (মিষ্টান্ন অর্থে) ইত্যাদি।
যোগরূঢ় শব্দ কাকে বলে :-
যে সমস্ত শব্দে প্রচলিত অর্থ এবং ব্যুৎপত্তিগত অর্থ দুটিই বর্তমান থাকে, তবে মূল অর্থটি কিছুটা সংকুচিত থাকে, সেই শব্দকে যোগরূঢ় শব্দ বলে।
যেমন - ‘পঙ্কজ' শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ‘পঙ্কে জন্মে যা’, কিন্তু প্রচলিত অর্থ ‘পদ্ম'। ‘পদ্ম'ও পঙ্কে জন্মে, সুতরাং এই জাতীয় শব্দে দুটি অর্থই বর্তমান।
অনুরূপ উদাহরণ জলদ (ব্যুৎপত্তিগত অর্থ : জল দান করে যা, প্রচলিত অর্থ : মেঘ); রাঘব (ব্যুৎপত্তিগত অর্থ : রঘুবংশজাত, প্রচলিত অর্থ : রামচন্দ্র)।
তৎসম শব্দ কাকে বলে :-
যে সমস্ত শব্দ প্রাচীন ভারতীয় আর্য বা সংস্কৃত ভাষা থেকে সরাসরি বাংলা ভাষায় এসেছে এবং অবিকৃত রূপে বাংলা ভাষায় টিকে আছে সেই সমস্ত শব্দ কে তৎসম শব্দ বলা হয়।
আরও পড়ুন :- পারিভাষিক শব্দের তালিকা সমূহ
যেমন - পিতা, মাতা, শিক্ষালয়, আচার্য, শিক্ষক, সকল, পদ, ঘাস প্রভৃতি হল বাংলা শব্দ ভান্ডারের তৎসম শব্দের উদাহরণ।
এই তৎসম শব্দ কে আবার অনেক ভাষাতাত্ত্বিক দুই ভাগে ভাগ করেছেন। যথা- সিদ্ধতৎসম শব্দ ও অসিদ্ধতৎসম শব্দ
সিদ্ধতৎসম শব্দ কাকে বলে :-
যেসব শব্দ বৈদিক বা সংস্কৃত সাহিত্যে পাওয়া যায় এবং যেগুলি ব্যাকরণ সিদ্ধ সেগুলিকে সিদ্ধতৎসম বলা হয়।
যেমন - সূর্য, মিত্র, কৃষ্ণ, লতা, প্রভৃতি শব্দ।
অসিদ্ধতৎসম শব্দ কাকে বলে :-
যে সকল শব্দ বৈদিক বা সংস্কৃত সাহিত্যে পাওয়া যায় না এবং সংস্কৃত ব্যাকরণ শুদ্ধ নয়, তাকে অসিদ্ধতৎসম শব্দ বলে।
অসিদ্ধতৎসম শব্দ কাকে বলে :-
যে সকল শব্দ বৈদিক বা সংস্কৃত সাহিত্যে পাওয়া যায় না এবং সংস্কৃত ব্যাকরণ শুদ্ধ নয়, তাকে অসিদ্ধতৎসম শব্দ বলে।
যেমন - কৃষাণ, ঘর, চল, ডাল, প্রভৃতি শব্দ।
অর্ধতৎসম শব্দ কাকে বলে :-
যে সমস্ত শব্দ প্রাচীন ভারতীয় আর্য (বৈদিক/ সংস্কৃত) থেকে মধ্যবর্তী স্তর প্রাকৃতের মাধ্যমে না এসে সোজাসুজি বাংলা ভাষায় এসেছে এবং পরবর্তীকালে লোকমুখে কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত ও বিকৃতি লাভ করেছে তাকে অর্ধতৎসম শব্দ বলে।
যেমন - কৃষ্ণ থেকে কেষ্ট, নিমন্ত্রণ থেকে নেমন্তন্ন, ক্ষুধা থেকে খিদে, রাত্রি থেকে রাত্তির প্রভৃতি।
তদ্ভব শব্দ কাকে বলে:-
যে সমস্ত শব্দ প্রাচীন ভারতীয় আর্য বা সংস্কৃতি থেকে সোজাসুজি বাংলা ভাষায় আসেনি মধ্যবর্তী প্রাকৃতের মাধ্যমে পরিবর্তন লাভ করে বাংলা ভাষায় এসেছে তাদের তদ্ভব শব্দ বলা হয়।
খাঁটি বাংলার মূল শব্দ সম্পদ হল তদ্ভব শব্দ। এই শব্দ আবার দুই প্রকার। যথা, নিজস্ব তদ্ভব ও বিদেশি তদ্ভব।
নিজস্ব তদ্ভব কাকে বলে :-
যেসব তদ্ভব শব্দ যথার্থই বৈদিক সংস্কৃতির নিজস্ব শব্দের পরিবর্তনের ফলে বাংলা ভাষায় এসেছে সেগুলিকে নিজস্ব তদ্ভব শব্দ বলা হয়ে থাকে।
যেমন - ইন্দ্রাগার > ইন্দাআর > ইন্দ্রা, উপাধ্যায় > উবজঝঅ > ওঝা, একাদশ > এগারহ > এগারো।
বিদেশি তদ্ভব শব্দ কাকে বলে:-
যেসব শব্দ প্রথমে বৈদিক বা সংস্কৃত ভাষায় ইন্দো-ইউরোপীয় বংশের অন্য ভাষা থেকে বা ইন্দো- ইউরোপীয় ছাড়া অন্য বংশের ভাষা থেকে কৃতঋণ শব্দ হিসাবে এসেছিল এবং পরে প্রাকৃতের মাধ্যমে পরিবর্তন লাভ করে বাংলায় এসেছে সে সব শব্দকে বিদেশি তদ্ভব শব্দ বলা হয়ে থাকে।
আগন্তুক বা কৃতঋণ শব্দ কাকে বলে :-
যেসব শব্দ সংস্কৃতের নিজস্ব উৎস থেকে বা অন্য ভাষা থেকে সংস্কৃত হয়ে আসেনি, অন্য ভাষা থেকে সরাসরি বাংলা ভাষায় এসেছে সেই শব্দগুলিকে আগন্তুক শব্দ বা কৃতঋণ শব্দ বলা হয়।
আরও পড়ুন :- দ্বিরুক্ত শব্দ কি?
অর্ধতৎসম শব্দ কাকে বলে :-
যে সমস্ত শব্দ প্রাচীন ভারতীয় আর্য (বৈদিক/ সংস্কৃত) থেকে মধ্যবর্তী স্তর প্রাকৃতের মাধ্যমে না এসে সোজাসুজি বাংলা ভাষায় এসেছে এবং পরবর্তীকালে লোকমুখে কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত ও বিকৃতি লাভ করেছে তাকে অর্ধতৎসম শব্দ বলে।
যেমন - কৃষ্ণ থেকে কেষ্ট, নিমন্ত্রণ থেকে নেমন্তন্ন, ক্ষুধা থেকে খিদে, রাত্রি থেকে রাত্তির প্রভৃতি।
তদ্ভব শব্দ কাকে বলে:-
যে সমস্ত শব্দ প্রাচীন ভারতীয় আর্য বা সংস্কৃতি থেকে সোজাসুজি বাংলা ভাষায় আসেনি মধ্যবর্তী প্রাকৃতের মাধ্যমে পরিবর্তন লাভ করে বাংলা ভাষায় এসেছে তাদের তদ্ভব শব্দ বলা হয়।
খাঁটি বাংলার মূল শব্দ সম্পদ হল তদ্ভব শব্দ। এই শব্দ আবার দুই প্রকার। যথা, নিজস্ব তদ্ভব ও বিদেশি তদ্ভব।
নিজস্ব তদ্ভব কাকে বলে :-
যেসব তদ্ভব শব্দ যথার্থই বৈদিক সংস্কৃতির নিজস্ব শব্দের পরিবর্তনের ফলে বাংলা ভাষায় এসেছে সেগুলিকে নিজস্ব তদ্ভব শব্দ বলা হয়ে থাকে।
যেমন - ইন্দ্রাগার > ইন্দাআর > ইন্দ্রা, উপাধ্যায় > উবজঝঅ > ওঝা, একাদশ > এগারহ > এগারো।
বিদেশি তদ্ভব শব্দ কাকে বলে:-
যেসব শব্দ প্রথমে বৈদিক বা সংস্কৃত ভাষায় ইন্দো-ইউরোপীয় বংশের অন্য ভাষা থেকে বা ইন্দো- ইউরোপীয় ছাড়া অন্য বংশের ভাষা থেকে কৃতঋণ শব্দ হিসাবে এসেছিল এবং পরে প্রাকৃতের মাধ্যমে পরিবর্তন লাভ করে বাংলায় এসেছে সে সব শব্দকে বিদেশি তদ্ভব শব্দ বলা হয়ে থাকে।
আগন্তুক বা কৃতঋণ শব্দ কাকে বলে :-
যেসব শব্দ সংস্কৃতের নিজস্ব উৎস থেকে বা অন্য ভাষা থেকে সংস্কৃত হয়ে আসেনি, অন্য ভাষা থেকে সরাসরি বাংলা ভাষায় এসেছে সেই শব্দগুলিকে আগন্তুক শব্দ বা কৃতঋণ শব্দ বলা হয়।
আরও পড়ুন :- দ্বিরুক্ত শব্দ কি?
এই আগন্তুক শব্দ কে আমরা দুই ভাগে ভাগ করে থাকি। যথা- দেশি শব্দ ও বিদেশি শব্দ।
দেশি শব্দ :- যেসব শব্দ আমাদের দেশের অন্যান্য ভাষা থেকে সোজাসুজি বাংলা ভাষায় প্রবেশ লাভ করেছে তাকে দেশি কৃতঋণ শব্দ বা দেশি শব্দ বলে।
এই দেশি কৃতঋণ শব্দ কে আবার দুইভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে -
অন আর্য দেশি শব্দ :-
এদেশীয় অস্ট্রিক, কোল বা দ্রাবিড়, ভাষা বংশ থেকে যেসব শব্দ সরাসরি বাংলা ভাষায় এসেছে তাকে অনূ আর্য দেশি শব্দ বলে।
যেমন - ডাব, ঝাঁটা, ঝোল, ডোম, ঝিঙ্গা, কুলা, কান্দি, মুড়ি, উচ্ছে, খুকি, ইত্যাদি।
আর্য দেশি শব্দ :-
যে সকল শব্দ ভারতীয় আর্য ভাষার অন্যান্য শাখা থেকে বাংলায় এসেছে তাকে আর্য দেশি শব্দ বলা হয়।
যেমন- হিন্দি সেলাম, মস্তান, ওস্তাদ, ইত্যাদি। গুজরাটি হরতাল ইত্যাদি।
বিদেশি শব্দ কাকে বলে:-
যে সকল শব্দ এ দেশের বাইরের কোন ভাষা থেকে সরাসরি বাংলা ভাষায় প্রবেশ লাভ করেছে সেই শব্দগুলিকে বিদেশি শব্দ বলা হয়। যেমন -
গ্রিক শব্দ :- যবন, কোণ, হোৱা, ইত্যাদি।
পোর্তুগিজ শব্দ :- আলকাতরা, আলপিন, আলমারি, আনারস, সাবান, আয়া, পাদ্রী, কাজু, বোমা, ফরাসি, বোম্বাই, প্রভৃতি।
ফরাসি শব্দ :- বুর্জোয়া, কাকে, কার্তুজ, মাদাম, রেস্তোরাঁ, প্যারেজ, এগিট, প্রভৃতি।
ফারসি শব্দ :- সরকার, দরবার, উজির, খরচ, জাহাজ, কামান, প্রভৃতি।
আরবি শব্দ :- আহন, আক্কেল, তাজ্জব, কেচ্ছা, কদর, আমল, সাহেব, হাকিম, প্রভৃতি।
ওলন্দাজ শব্দ :- হরতন, রহিতন, ইস্কাপন, তুরুপ, প্রভৃতি।
ইংরেজি শব্দ :- পুলিশ, আপিল, ইঞ্জিন, নম্বর, হ্যান্ডেল, ইঞ্চি, টেবিল, ডাক্তার, বান্ডিল, আস্তাবল, মাস্টার ম্যানেজার, নেট, রোমান্স, ট্রেন, অফিস, কেয়ার, প্রভৃতি।
বিদেশি শব্দ কাকে বলে:-
যে সকল শব্দ এ দেশের বাইরের কোন ভাষা থেকে সরাসরি বাংলা ভাষায় প্রবেশ লাভ করেছে সেই শব্দগুলিকে বিদেশি শব্দ বলা হয়। যেমন -
গ্রিক শব্দ :- যবন, কোণ, হোৱা, ইত্যাদি।
পোর্তুগিজ শব্দ :- আলকাতরা, আলপিন, আলমারি, আনারস, সাবান, আয়া, পাদ্রী, কাজু, বোমা, ফরাসি, বোম্বাই, প্রভৃতি।
ফরাসি শব্দ :- বুর্জোয়া, কাকে, কার্তুজ, মাদাম, রেস্তোরাঁ, প্যারেজ, এগিট, প্রভৃতি।
ফারসি শব্দ :- সরকার, দরবার, উজির, খরচ, জাহাজ, কামান, প্রভৃতি।
আরবি শব্দ :- আহন, আক্কেল, তাজ্জব, কেচ্ছা, কদর, আমল, সাহেব, হাকিম, প্রভৃতি।
ওলন্দাজ শব্দ :- হরতন, রহিতন, ইস্কাপন, তুরুপ, প্রভৃতি।
ইংরেজি শব্দ :- পুলিশ, আপিল, ইঞ্জিন, নম্বর, হ্যান্ডেল, ইঞ্চি, টেবিল, ডাক্তার, বান্ডিল, আস্তাবল, মাস্টার ম্যানেজার, নেট, রোমান্স, ট্রেন, অফিস, কেয়ার, প্রভৃতি।
আরও পড়ুন :- সংখ্যাবাচক শব্দ কি
তুর্কি শব্দ :- আলখাল্লা, কাঁচি, কাবু, কুলি, বাবুর্চি, মুচলেকা, প্রভৃতি।
চীনা শব্দ :- চা, চিনি, লিচু, প্রভৃতি।
শব্দের বৈশিষ্ট্য :-
শব্দের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য নিম্নে বর্ণিত:আর্থিক দিক: শব্দের আর্থিক দিক বলতে শব্দের সাথে যুক্ত অর্থ বোঝায়। একই শব্দের বিভিন্ন অর্থ থাকতে পারে।
উচ্চারণগত দিক: একই শব্দকে বিভিন্নভাবে উচ্চারণ করা যেতে পারে। এটি শব্দের উচ্চারণগত বৈশিষ্ট্য।
বানানগত দিক: শব্দকে সঠিকভাবে লিখার বা বানান করার নিয়ম আছে যা শব্দের বানানগত বৈশিষ্ট্য।
ব্যাকরণগত দিক: একই শব্দ বিভিন্ন ব্যাকরণগত কাজে ব্যবহৃত হতে পারে (যেমন সন্ধি, বাক্য গঠন)।
শৈলীগত দিক: ভাষার বৈশিষ্ট্য, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য অনুযায়ী শব্দের বিভিন্ন শৈলী দেখা যায়।
এই সব দিক বিবেচনা করে শব্দের বৈশিষ্ট্য বুঝা যায়।
শব্দের গুরুত্ব :-
শব্দের গুরুত্ব নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হল:১. মানুষের চিন্তাভাবনা প্রকাশের মাধ্যম: ভাষার মাধ্যমে মানুষ নিজের চিন্তা-ভাবনা, অনুভূতি প্রকাশ করে। এজন্য শব্দ অত্যন্ত জরুরি।
২. যোগাযোগের মাধ্যম: অন্যকে বুঝতে এবং তার সাথে যোগাযোগ সাধনে শব্দ সহায়ক।
৩. সংস্কৃতির বহনকারী: কোন জাতির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বহন শব্দের মাধ্যমেই সম্ভব।
৪. জ্ঞান অর্জনে সাহায্য করে: শব্দের সহায়তায় আমরা বিভিন্ন ধরনের জ্ঞান লাভ করতে পারি।
৫. দৃষ্টিভঙ্গি মোড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে।
সংক্ষেপে, শব্দ মানব জীবনকে সমৃদ্ধ করে। তাই এটি অত্যন্ত জরুরী।
বাংলা ভাষায় শব্দের প্রয়োজনীয়তা :-
বাংলা ভাষায় শব্দের প্রয়োজনীয়তা নিম্নরূপ:১. মনোভাব প্রকাশ করা: বাংলা ভাষায় শব্দের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে যার মাধ্যমে মানুষ নিজের অন্তরের মনোভাব, চিন্তা-ভাবনা প্রকাশ করতে পারে।
২. সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বহনকারী: বাংলা সাহিত্যের শব্দগুলি জাতির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বহনকারী।
৩. জ্ঞানের উৎস: প্রতিদিন আমরা বাংলায় নতুন নতুন শব্দ থেকে জ্ঞান লাভ করছি।
৪. কাজের সুবিধা: বিভিন্ন কাজ-কর্মের জন্য বাংলা ভাষার যথেষ্ট শব্দ রয়েছে যেগুলো কাজে সুবিধা করে।
৫. সমাজে যোগাযোগের ভাষা: বাংলা দৈনন্দিন কথোপকথন, ভাববিনিময়ের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ভাষা হিসেবে পরিচিত।
শব্দ ও পদের পার্থক্য :-
শব্দ ও পদের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। এগুলো নিম্নরূপ:১. শব্দ হলো একক বাচনযোগ্য ধ্বনির সমন্বয়, যেমন: চাঁদ, রাত, তারা। অন্যদিকে, পদ হলো একাধিক শব্দের সমন্বয়, যেমন: সুন্দর চাঁদ, রাত্রির তারা।
২. শব্দকে ভাঙ্গা যায় না, কিন্তু পদকে ভাঙ্গা যায়। যেমন: চাঁদ + রাত - একটি পদ।
৩. শব্দের অর্থ/বোঝার সীমা সীমিত, পদের বোঝার সীমা বিস্তৃত।
৪. শব্দ ছাড়া পদ হতে পারে না, কিন্তু শব্দ পদ ছাড়াই থাকতে পারে।
৫. শব্দটি ছাড়াই পূর্ণাঙ্গ অর্থ প্রকাশ করা যায় না, অন্যদিকে পদটি থেকেই পূর্ণাঙ্গ অর্থ বোঝা যায়।
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.