বিজ্ঞাপন কি বা কাকে বলে - উদ্দেশ্য, প্রকারভেদ, গঠন ও প্রয়োজনীয়তা

এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা বিজ্ঞাপন কি বা কাকে বলে তা আলোচনা করবো এবং সেই সঙ্গে বিজ্ঞাপনের উদ্দেশ্য ও প্রকারভেদ কি তা আলোচনা করবো। আশা করি তোমাদের ভালো লাগবে।

আমরা বিজ্ঞাপনের ছোট্ট একটি ভূমিকা দিয়ে শুরু করি। তার পর বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো।

ভূমিকা :-

বিজ্ঞাপন কি তা সাধারণভাবে বলা যায়, পণ্যের প্রতি জনগণকে আকৃষ্ট করার উদ্দেশ্যে কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিবিশেষ নৈব্যক্তিক উপায়ে পণ্যের গুণাগুণ, উপযোগিতা, কার্যকারিতা, ব্যবহার বিধি বা অনান্য বৈশিষ্ট্য জনসাধারণের সামনে বিভিন্ন মাধ্যমের সাহায্যে তুলে ধরলে তা বিজ্ঞাপন নামে পরিচিত হয়।

বিজ্ঞাপণের ধারণা বহু প্রাচীন। সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের সাথে সাথে বদলেছে বিজ্ঞাপণের ধারণা। বিশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত মনে করা হত বিজ্ঞাপণ হল মূল্যের বিণিময়ে ছাপা অক্ষরে নীরব সেলসম্যানসিপ (Silent Salesmanship) অথবা আমরা যা কিনতে বা বিক্রি করতে চাই সাধারণ মানুষের কাছে তার খবর দেওয়া বিশেষ ব্যবস্থাই বিজ্ঞাপণ

আরও পড়ুন :- গবেষণা কেন প্রয়োজন?

বিজ্ঞাপণ ছাপতে বা প্রচার করতে নগদমূল্য অবশ্যই দিতে হয়। কিন্তু এখন বিজ্ঞাপন আর শুধু ছাপার অক্ষরে নয়, রেডিও, টেলিভিশন থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরণের মাধ্যমকে কেন্দ্র করে বিজ্ঞাপন গড়ে উঠেছে। 

বর্তমানে পণ্য ও পরিষেবা ছাড়া বিজ্ঞাপণের পরিধির অন্তর্ভুক্ত হয়ে বিভিন্ন চিন্তা ভাবনা বা আদর্শ। যা মানুষের ইচ্ছা শক্তিকে উজ্জীবিত করে। সুতরাং পণ্য সংক্রান্ত খবরা-খবর দেওয়াই বিজ্ঞাপণের একমাত্র লক্ষ্য নয়।
বিজ্ঞাপন কি বা কাকে বলে - উদ্দেশ্য, প্রকারভেদ, গঠন ও প্রয়োজনীয়তা

বিজ্ঞাপনের সংজ্ঞা / বিজ্ঞাপন কি বা কাকে বলে :-

বিজ্ঞাপন কি বা বিজ্ঞাপন কাকে বলে? এ নিয়ে অনেকের অনেক রকম মত রয়েছে। তবে বিশেষ কিছু ব্যক্তিদের মতে বিজ্ঞাপনের সংজ্ঞা নিন্মে আলোচনা করা হলো-

প্রখ্যাত বিজ্ঞাপণ লেখক রজার রিভ্স এর মতে বিজ্ঞাপন কি -
"এক জনের ধ্যান ধারণা অন্য ব্যক্তির মস্তিষ্কে প্রবেশ করানোর কলা কৌশল বিজ্ঞাপণ ।"
জে. ভল্টার টমসন বিজ্ঞাপণের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন,
"বিজ্ঞাপণ এমন এক বার্তা যা এক বা একাধিক ব্যক্তিকে জাগানোর জন্য বা প্রভাবিত করার জন্য মূল্য দিয়ে প্রচার করা হয়।"
বিজ্ঞাপন কাকে বলে তা বলতে গিয়ে ডেভিড কর্নস্টাইল বলেছেন,
"বিজ্ঞাপণ বিভিন্ন পণ্যের ধারণার উৎস এবং সংযোগ যা ব্যবহারকারীকে পণ্যটি ব্যবহার করতে উদ্দিপিত করে।”

ফ্যাঙ্ক জ্যাফকিন (Frank Jafliees) বিজ্ঞাপন কি এ সম্পর্কে বলেছেন,

"Advertising is a paid, silent Salesmanship in print or as the means by which we make known what we have to sell and what we want to buy."

বিজ্ঞাপনের প্রকারভেদ :-

বিজ্ঞাপনের নানা প্রকারভেদ হতে পারে তবে নিন্মোক্ত বিভাগ গুলোর সাথে সব ধরণের বিজ্ঞাপন অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

  1. মুদ্রণ বা ছাপা বা পোস্টারের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন
  2. টেলিভিশন বিজ্ঞাপন
  3. রেডিও / বেতার বিজ্ঞাপন
  4. ইন্টারনেট বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপনের এই প্রকারভেদের আবার নানা ভাগ রয়েছে।

বিজ্ঞাপনের উদাহরণ :-

বিজ্ঞাপনের কিছু উদাহরণ নিচে দেওয়া হল:

১. টেলিভিশন বিজ্ঞাপন: বিভিন্ন পণ্য যেমন সাবান, টুথপেস্ট, ডিটারজেন্ট, খাবার পানীয় ইত্যাদির টিভি বিজ্ঞাপন।

২. পত্রিকা বিজ্ঞাপন: নতুন মোবাইল, কার বা বাড়ি বিক্রির বিজ্ঞপ্তি প্রভৃতি।

৩. রেডিও বিজ্ঞাপন: নতুন ছবির প্রচার, স্কুল/কলেজের ভর্তির বিজ্ঞপ্তি ইত্যাদি।

৪. ইন্টারনেট বিজ্ঞাপন: গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব এর বিভিন্ন ব্যানার বিজ্ঞাপন।

৫. বিলবোর্ড বিজ্ঞাপন: রাস্তার পাশে বিভিন্ন পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন।

বিজ্ঞাপণের গঠন :-

একটি বিজ্ঞাপণ তৈরী বা গঠন করতে যে বিষয়ে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় তা হল বিজ্ঞাপণের শিরোনাম, উপশিরোনাম,ছবির ব্যবহার, বিষয় লিপি, স্লোগান, ছবি লোগো এই সবই হল বিজ্ঞাপণ তৈরির বিভিন্ন অংশ। এইসব কিছু গ্রাহকের সামনে উপস্থাপন করার উদ্দেশ্য হল দৃষ্টি ও মনোযোগ আকর্ষণ করা, আগ্রহ অভিলাষ জাগানো।

শিরোনাম :-

বিজ্ঞাপণ গঠনের শুরুতেই নজর রাখা হয় শিরোনাম তৈরির উপর। কারণ বিজ্ঞাপণের শিরোনামের সাথেই পাঠকের প্রথম পরিচয় ঘটে। এটি পাঠকের কাছে টেলিগ্রাফের মত কাজ করে। শিরোনাম এমন হবে যাতে দেখে পাঠক বিজ্ঞাপণের বাকি অংশের প্রতি উৎসাহী হয়ে উঠবে। তাই বিজ্ঞাপণ গঠন শিরোনামের প্রতি আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হয়।

বিষয় লিপি :-

শিরোনাম পাঠকের প্রতিশ্রুতি এবং প্রলেভসকে সন্তুষ্ট করে, আর কপি পণ্য বা সেবার বিক্রয়ের কাজটিকে সম্পূর্ণ করে। বিষয়লিপিতে পণ্যটি বিক্রি ও ব্যবহারের সমস্ত যুক্তি ও আবেদনকে তুলে ধরে। উৎসাহিত পাঠক সেই আবেদনে সারা দিয়ে পণ্যটি ক্রয় করে।

ছবির ব্যবহার :-

বিজ্ঞাপনে দৃশ্যের ব্যাপারটা বেশি থাকায় বিভিন্ন ইলাশস্ট্রেশন, কার্টুন, গ্রাফিক্স ইত্যাদি ব্যবহার করলে বিজ্ঞাপণের গ্রহদযোগ্যতা অনেক বৃদ্ধি পায়। যেমন একটি মোবাইল পরিষেবা কোম্পানি ভোডাফোন তাদের বিজ্ঞাপদ প্রচারের জন্য একটি অদ্ভুত কার্টুন ব্যবহার করে।

লোগো :-

সাধারণত বিজ্ঞাপণ গঠনে লোগো বা প্রতীক খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আসলে এই প্রতীকই ক্রেতার কাজে পরিচিতির সহায়ক হয়ে ওঠে। লোগো হল কোন একটি বিশেষ স্টাইলে লেখা অক্ষর বা অনন্য একটি প্রতীক। এই লোগো অনেক সময় ক্রেতাকে পণ্য চিনতে সাহায্য করে তাই বিজ্ঞাপণ গঠনে এর বিশেষ প্রাধান্য রয়েছে।


স্লোগান :-

বিজ্ঞাপণ গঠনে স্লোগানের ভূমিকা অনস্বিকার্য। স্লোগান হল কতকগুলি শব্দের সমষ্টি। এটি স্বল্প কথায় দ্রব্য ও তার উৎপাদকের গুণমাত্রকে প্রকাশ করে। এটা হল দ্রব্য ও তার পরিষেবা সম্পর্কে বিক্রয়যোগ্য যুক্তি। শ্লোগান হল আস-ক্যাচ ফেজ যা কোন দ্রব্য বা সেবার বিক্রির ধারণাকে যুক্ত করে।

বিজ্ঞাপনের প্রয়োজনীয়তা :-

বিজ্ঞাপনের প্রয়োজনীয়তা দুইটি ভাগে বিভক্ত।

প্রথমত :-

অর্থনৈতিক গুরুত্ব হিসেবে রয়েছে সামগ্রিকভাবে পণ্যের চাহিদা সৃষ্টি। চাহিদা ও যোগানে সমতা সৃষ্টি, উৎপাদন ব্যয় হ্রাস, নতুন পণ্য উদ্ভাবন, প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ব্র্যান্ড অগ্রাধিকার ও আনুগত্য বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ, ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টি, বিক্রেতাদের সহায়তা দান।

দ্বিতীয়ত :-

সামাজিক গুরুত্ব হিসেবে বলা হয় জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি, রুচির বৈচিত্রায়ন, ক্রয়ের সুবিধা, মধ্যস্থব্যবসায়ীদের প্রভাব হ্রাস, শিল্পোন্নয়ন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও সামাজিক কল্যাণ।

বিজ্ঞাপণের উদ্দেশ্য :-

বিজ্ঞাপণের উদ্দেশ্য পণ্য বা পরিষেবা সম্পর্কে শ্রোতা, পাঠক বা ক্রেতাদের তথ্য পৌঁছে দেওয়া কিন্তু আঙ্গিকগত কারণে বিজ্ঞাপণের ভিন্নতা দেখা যায়। বিজ্ঞাপণের গঠন বা স্বরূপ যাই হোক না কেন, প্রায় সব বিজ্ঞাপণেরই কিছু মৌলিক উদ্দেশ্য থাকে।

১ - চাহিদাকে উজ্জীবিত করা (Stimulate Demand) বিজ্ঞাপনের প্রধান উদ্দেশ্য। নির্দিষ্ট ক্রেতা বা ভোক্তাদের অন্তর্নিহিত চাহিদাকে উজ্জীবিত করা। কারণ অনেক সময় ক্রেতা বা ভোক্তাদের মনে চাহিদা সুপ্ত অবস্থায় বা অচেতন অবস্থায় থাকে । বিজ্ঞাপণের সাহায্যে তাকে জাগিয়ে তোলা হয়। অর্থাৎ বিজ্ঞাপণ সরাসরি চাহিদার সৃষ্টি করলেও পরোক্ষভাবে চাহিদা সৃষ্টিতেও সহায়তা করে।

২ - পরীক্ষামূলক ব্যবহারকে উৎসাহিত করা :

বিজ্ঞাপণের প্রধান উৎসই হল ব্যবহারকারীকে পণ্যাদি সম্পর্কে তথ্য দান করা। কোন পণ্য বা পরিষেবা যখন প্রথম বাজারে আসে তখন উৎপাদনকারী সংস্থা বিজ্ঞাপণের মাধ্যমে ভোক্তাদের ঐ পণ্য বা পরিষেবা ব্যবহার করতে উৎসাহিত করে।

৩ - পণ্য পরিষেবা বা ব্যবহারকে সুনিশ্চিত করা :-

ব্যবহারকারীরা পণ্যটির প্রতি যাতে বিশেষ আকর্ষণ বোধ করে তার জন্য বিজ্ঞাপণ পণ্য পরিষেবার মাধ্যমে গ্রাহকদের উৎকর্ষতায় পণ্যটিকে পৌঁছে দেয়।

যেমন 'ম্যাগি' যখন প্রথমে বাজারে আসে তখন তার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল শিশুদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করা। কিন্তু চাহিদার সঙ্গে উপযোগীতা বজায় রেখে পরবর্তীকালের বিজ্ঞাপণটি হয় সমস্ত গ্রাহকদের জন্য 'Fast to cook: good to eat ফলে ম্যাগির বিক্রি অনেক বেড়ে যায়।

৪ - পণ্য ব্যবহারে উপযোগীতাকে সুনিশ্চিত করা :-

ব্যবহারকারীরা পণ্যটির প্রতি যাতে বিশেষ আকর্ষণ বোধ করে তার জন্য বিজ্ঞাপণের পণ্য পরিষেবার মাধ্যমে গ্রাহকদের উৎকর্ষতা পণ্যটিকে পৌছে দেই।

বিজ্ঞাপণের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য কোন পণ্য বা পরিষেবা ব্যবহারকারীকে সেই পণ্য ব্যবহার করতে উৎসাহিত করা। দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে পণ্য বা পরিষেবা সম্পর্কে ভোক্তানের মনে ভাল ধারণা গড়ে ওঠে অর্থাৎ পণ্য বা পরিষেবার ব্যান্ড রয়্যালিটি বা ব্যান্ড ইমেজ তৈরী হয়। এই ব্যান্ড ইমেজ তৈরী করার ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

যেমন :- Hoffman, Bata, Levis, Lakme, Koutons, Reebok।

৫ - বিজ্ঞাপণের মাধ্যমে ইমেজ তৈরী হয় :-

বিজ্ঞাপণ দর্শক, পাঠক বা ভোক্তার মনে পণ্য বা পরিষেবা সম্পর্কে একটা ভাবমুর্তি তৈরী করে, ফলে ক্রেতার মনে ঐ পণ্য বা পরিষেবা সম্পর্কে একটা ভাবমূর্তি তৈরী হয়। বিজ্ঞাপণের এই ইতিবাচক দিকটি পণ্য বা পরিষেবার ইমেজ গড়ে তুলতে সহায়তা করে।

৬ - অভ্যাসের আচরণগত পরিবর্তন :-

পণ্য বা পরিষেবা ব্যবহারে ভোক্তার আচরণগত পরিবর্তন নিয়ে আসা বিজ্ঞাপণের একটা প্রধান লক্ষ্য। কারণ বিজ্ঞাপণই কোন ভোক্তাকে উদ্দীপিত করতে পারে। সেই পণ্য বা পরিষেবা ব্যবহারের জন্য।

৭ - তথ্য জ্ঞাপন করা :-

বর্তমানে প্রতিযোগীতার বাজারে কোন পণ্য বা পরিষেবা যখন প্রথম বালরে আসে তখন তার প্রধান লক্ষ্যই হয় ক্রেতার কাছে এক্সক্লসিভভাবে পণ্যটির পরিচয় ঘটানো। আবার কখনও কখনও কোন পণ্য বা পরিষেবা নতুনভাবে বাজারে এলেও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে নতুন তথ্যটি তুলে ধরা হয়।

আরও পড়ুন :- বুক রিভিউ এর গুরুত্ব লেখ?

৮ - ব্যবসায়ীদের তথ্য জানানো :-

বিজ্ঞাপণের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য পণ্য বা পরিষেবা সম্পর্কে তথ্য ডিলার, মজুরদার এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে জানায়। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ওইসব মাধ্যমে ঐ পণ্য বা পারিষেবা পেয়ে থাকে। বিজ্ঞাপণ তাই সবসময় ব্যবসায়ীদের বিশেষজ্ঞ ডিলার এবং বিক্রেতাদের পণ্য বা পরিষেবা সম্পর্কে তথ্য জানায়।

৯ - কর্পোরেট ইমেজ তৈরী করা :-

বিজ্ঞাপণ কোন প্রতিষ্ঠানের কর্পোরেট ইমেজ তৈরী করানোর চেষ্ঠা করে। তার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে বিজ্ঞাপণ কোন প্রতিষ্ঠানের ভিতরের ও বাইরের (Internal & External) পাবলিকানের প্রভাবিত করে। বিজ্ঞাপণ তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে বিবেচিত হয়।

বিজ্ঞাপনের বৈশিষ্ট্য :-

বিজ্ঞাপনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য নিম্নে বর্ণিত:

১. আকর্ষণীয়তা: 

বিজ্ঞাপন দৃশ্যমান এবং শ্রবণযোগ্য উভয়ই হতে পারে। এর মধ্যে রঙ, ছবি, শব্দ ইত্যাদি ব্যবহার করে এটি আকর্ষণীয় করা হয়।

২. সংক্ষিপ্ততা: 

বিজ্ঞাপন অবশ্যই সংক্ষিপ্ত হতে হবে যাতে পাঠক/শ্রোতার মনোযোগ আকর্ষণ করা যায়।

৩. বার্তামূলক: 

পণ্য বা পরিষেবার বৈশিষ্ট্য তুলে ধরার মাধ্যমে বিজ্ঞাপনে একটি বার্তামূলক দিক থাকে।

৪. বিশ্বাসযোগ্যতা: 

বিজ্ঞাপন যাতে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় সেজন্য প্রমাণসহ তথ্য তুলে ধরা প্রয়োজন।

৫. আহ্বানজনক:

 গ্রাহককে পণ্য কেনার প্রতি উৎসাহিত করার জন্য বিজ্ঞাপনে আহ্বানজনকতা থাকে।

৬. সৃজনশীলতা:

 বিজ্ঞাপন সৃজনশীল হওয়া প্রয়োজন। নতুন ধারণা ও ভাবমূর্তিতে বিজ্ঞাপন তৈরি করার মাধ্যমে এটি সৃজনশীল হয়।

৭. ইমোশনাল অ্যাপিল: 

বিজ্ঞাপনে ভালোবাসা, অনুতপ্তি, হাসি, ভয় ইত্যাদি ইমোশন তুলে আনা হয় যা গ্রাহকের মনে প্রভাব ফেলে।

৮. উদ্দেশ্যমূলক:

বিজ্ঞাপনে একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য থাকে যেমন পণ্য বা সেবা বিক্রয় বাড়ানো।

৯. প্রচারমূলক: 

পণ্য, সেবা, ব্র্যান্ড ইত্যাদির প্রচার ও প্রসার ঘটানোই বিজ্ঞাপনের প্রধান উদ্দেশ্য।

বিজ্ঞাপনের সামাজিক গুরুত্ব :-

বিজ্ঞাপন শুধুমাত্র একটি কোম্পানির অর্থনৈতিক অবস্থারই উন্নয়ন ঘটায় না, বরং একটি দেশের সামাজিক উন্নয়নেও এর ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। বিজ্ঞাপনের সামাজিক গুরুত্বসমূহ নিম্নে আলোচনা করা হলো:

১) যোগাযোগ/অবহিত করা: বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পণ্য ও সেবা সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করা হয় যার ফলে গ্রাহকরা অবহিত হন।

২) গ্রাহকদের শিক্ষিত করে: বিজ্ঞাপন গ্রাহকদের পণ্যের বৈশিষ্ট্য, ব্যবহার পদ্ধতি সম্পর্কে শিক্ষিত করে।

৩) জনকল্যাণ নিশ্চিতকরণ: সরকারি পণ্য ও পরিষেবার বিজ্ঞাপন জনগণের কল্যাণে ব্যবহৃত হয়।

৪) বিক্রয়কর্মীদের সহায়তা: বিজ্ঞাপন বিক্রয়কর্মীদের কাজ সহজ করে তোলে।

৫) ব্যবসায়ীদের সাহায্য: ব্যবসার প্রসার ঘটাতে বিজ্ঞাপন সাহায্য করে।

৬) সম্পর্ক বজায় রাখে: গ্রাহক ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্পর্ক বজায় রাখতে বিজ্ঞাপন সাহায্য করে।

৭) সচেতনতা তৈরি: নতুন পণ্য, আইন পরিবর্তন ইত্যাদি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতে বিজ্ঞাপন ভূমিকা রাখে।

৮) কর্মসংস্থান তৈরি: বিজ্ঞাপন খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে।

বিজ্ঞাপনের মাধ্যম গুলি কি কি :-

বিজ্ঞাপনের বিভিন্ন মাধ্যম নিম্নে তুলে ধরা হল:

১. পত্রিকা/সাপ্তাহিক: পত্রিকা এবং সাপ্তাহিকে বিজ্ঞাপন সর্বাধিক জনপ্রিয়।

২. টেলিভিশন: ছবি ও শব্দের সংমিশ্রণে টেলিভিশন সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী।

৩. রেডিও: শুধুমাত্র শব্দকে মাধ্যম করে রেডিওতে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়।

৪. ইন্টারনেট: ওয়েবসাইট, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ইমেইল ইত্যাদির মাধ্যমে অনলাইনে বিজ্ঞাপন।

৫. প্রত্যক্ষ মেইল: পত্র পাঠানোর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেয়া।

৬. আউটডোর: হোর্ডিংস, ব্যানার, ফ্ল্যাক্স ইত্যাদির মাধ্যমে।

বিজ্ঞাপনের সুবিধা এবং অসুবিধা :-

বিজ্ঞাপন ব্যবসায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা একটি পণ্য বা সেবা প্রচারের জন্য ব্যবহৃত হয়। বিজ্ঞাপন একটি কোম্পানি বা ব্যবসায়ের পক্ষ থেকে তাদের পণ্য বা সেবার মাধ্যমে গ্রাহকদের উদ্দীপ্ত করার জন্য একটি কার্যকর উপায়। এটির সাথে সাথে বিজ্ঞাপনের কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে:

বিজ্ঞাপনের সুবিধা:

১. প্রচুর জনপ্রবৃত্তি: বিজ্ঞাপন দ্বারা একটি পণ্য বা সেবা প্রচারিত হলে এটি প্রচুর জনপ্রবৃত্তি অর্জন করতে সাহায্য করে। এটি জনগণের কাছে পণ্য বা সেবার জন্য পরিচিতি বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

২. ব্র্যান্ডিং এবং আইডেন্টিটি তৈরি: একটি ভাল বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোম্পানি নিজেকে একটি আইডেন্টিটি দেওয়ার জন্য প্রযোজ্য। এটি ব্র্যান্ড বা কোম্পানির চিহ্নিততা তৈরি করতে সাহায্য করে এবং গ্রাহকদের মনে ধরে রাখতে সাহায্য করতে পারে।

৩. বাজার শংকা কমাতে সাহায্য করতে পারে: বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য একে অপরকে তুলনা করে বাজারে এসে পৌঁছাতে সাহায্য করতে পারে এবং গ্রাহকদের কাছে একটি ভাল পণ্য বা সেবা নির্বাচন করতে সাহায্য করতে পারে।

বিজ্ঞাপনের অসুবিধা:

১. ব্যয়কর হতে পারে: ভাল বিজ্ঞাপন তৈরি করতে বৃদ্ধি হয়ে যাতে প্রচুর পরিমাণে অর্থ খরচ হয়ে যেতে পারে, এবং এটি ব্যবসার জন্য একটি মানসিক চুক্তি সৃষ্টি করতে পারে।

২. অপ্রয়োজনীয় প্রতিস্থাপন: কিছু বা কোনও জনগণ অপ্রয়োজনীয় বা মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা ভ্রান্ত হতে পারে এবং এটি তাদের জনগণ হয় কিংবা বিশ্বাস হয় না।

৩. পরিবেশের অপ্রভাবকর: অনেক বার বিজ্ঞাপন তৈরি করার জন্য ব্যবসা হয় অধিক উপকারকর, কিন্তু এটি পরিবেশের উপর বিভ্রান্ত বা অসুবিধা তৈরি করতে পারে।

এই মূল্যায়ন অনুসারে, বিজ্ঞাপন একটি ব্যবসার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সাধন হতে পারে, কিন্তু এটি ঠিকমতো পরিচালিত না হলে অসুবিধার কারণও হতে পারে।

বিজ্ঞাপন কি অপচয়?

প্রতিযোগিতার এই যুগে প্রসারের বিকল্প নেই। বলা হয়ে থাকে প্রসারেই (প্রচারেই) প্রসার। আর প্রসারের সর্বাধিক জনপ্রিয় হাতিয়ার হলো বিজ্ঞাপন।

বিজ্ঞাপন ছাড়া তাই কোম্পানির বিপণন কার্যক্রমকে চিন্তাই করা যায় না। পণ্য, সেবা বা কোম্পানির পরিচিতি ও চাহিদা তৈরি থেকে শুরু করে বাজারে গ্রহণযোগ্যতা তৈরিতে বিজ্ঞাপনের গুরুত্ব অপরিসীম।

কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেক সময়ই বিজ্ঞাপনের মাত্রাধিক ব্যবহার বা কিছু অপব্যবহারের কারণে অনেকেই বিজ্ঞাপনকে অপচয় বলে থাকেন। বিজ্ঞাপনকে অপচয় বলার পিছনের যুক্তিসমূহ হলো-

  1. বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ হয়ে মানুষ প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য কেনে, ফলে আর্থিক স্বচ্ছলতা নষ্ট হয়।
  2. প্রতিযোগিদের সাথে বিজ্ঞাপন যুদ্ধে নেমে কোম্পানি অনেক সময় মাত্রাতিরিক্ত অর্থ খরচ করে, ফলে অর্থের অপচয় হয়।
  3. বিজ্ঞাপনের খরচ তুলে আনতে কোম্পানিগুলো পণ্য মূল্য বাড়িয়ে দেয়।
  4. অনেক বিজ্ঞাপনে অতিরঞ্জিত তথ্য বা অফার পরিবেশিত হয়ে থাকে, যেগুলোতে আকৃষ্ট হয়ে ক্রেতারা প্রতারিত হতে পারেন।
  5. ক্ষতিকর পণ্য যেমন- সিগারেট, অ্যালকোহল ইত্যাদির বিজ্ঞাপন (সারোগেট বিজ্ঞাপন) প্রচারের মাধ্যমে সমাজে ক্ষতিকর দ্রব্যের অযাচিত চাহিদা তৈরি হতে পারে।
  6. বড় কোম্পানিগুলো বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে একচেটিয়া বাজার তৈরি করে।
  7. আবেগময় অনেক বিজ্ঞাপন দেখে ক্রেতারা যৌক্তিক চিন্তা ছাড়াই পণ্য ক্রয় করে থাকেন, যা ব্যক্তি স্বাধীনতা খর্ব করে।
  8. বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ হয়ে অপ্রয়োজনীয় পণ্যের পিছনে ক্রেতারা ছুটতে থাকেন, ফলে কৃত্রিম চাহিদা সৃষ্টি হয়।
  9. বিজ্ঞাপন ক্রেতাদের মধ্যে ভোগবাদী মনোভাব গড়ে তোলে।
  10. অনেক সময় বিজ্ঞাপন আমাদের ধর্মীয়, সামাজিক বা নৈতিক মূল্যবোধের বিপরীত বার্তা দেয় যা সামাজিক অবক্ষয়ের সূত্রপাত ঘটায়।

উপোরোক্ত কারণে অনেকেই বিজ্ঞাপনকে অপচয় বলে থাকেন। তবে বিজ্ঞাপনের অনেক কল্যাণকর দিকও রয়েছে যার কারণে বিজ্ঞাপনকে অপচয় বলা যায় না। বিজ্ঞাপনের উপকারী দিকগুলোর মধ্যে রয়েছে-

  1. বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ক্রেতারা তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য বা সেবার সম্পর্কে জানতে পারেন এবং এর গুণাগুণ, ব্যবহারবিধি, দাম বা অন্যান্য বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জেনে তা ব্যবহারের মাধ্যমে জীবন যাত্রার মান বাড়ানোর সুযোগ পান।
  2. বিজ্ঞাপন এজেন্সিগুলোতে কাজের মাধ্যমে হাজারো লোকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়।
  3. বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পণ্যের নতুন বাজার সৃষ্টি হয় বলে শিল্পোন্নয়নের সুযোগ তৈরি হয়।
  4. বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির ফলে বৃহদায়তন উৎপাদনের সুযোগ তৈরি হয় বলে পণ্য মূল্য কমানো
  5. সম্ভব হয়।
  6. বিজ্ঞাপন কোম্পানির এবং কোম্পানির পণ্য বা সেবার পরিচিতি বাড়ায়, যা কোম্পানির পণ্য বা সেবার চাহিদা তৈরিতে সহায়তা করে।
  7. বিজ্ঞাপনের ফলে দেশে-বিদেশের বাজারে কোম্পানির বিক্রয় ও মুনাফা বৃদ্ধি পায়।
  8. বিজ্ঞাপনের ফলে ক্রেতাদের রুচির উৎকর্ষ সাধিত হয়।
  9. বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সামাজিক সচেতনতা তৈরি করা যায়।
  10. বিজ্ঞাপন জাতীয়তাবোধ তৈরিতেও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

উপোরোক্ত কারণে বিজ্ঞাপনকে অপচয় বলা যায় না। বরং বিজ্ঞাপনকে একটি উপকারি বিনিয়োগ হিসেবে চিন্তা করার প্রয়াস পাওয়া যায়।

বিজ্ঞাপন কি প্রতারণামূলক?

আধুনিক এই যুগে উন্নত প্রযুক্তি, বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা, মানুষের দক্ষতা এবং অন্যান্য সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে বলে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুন।

উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্ধিত উৎপাদনের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোক্তার কাছে পণ্য বা সেবা পৌঁছে দিতে বিপণন কাজের চাহিদাও বেড়েছে অনেক। সেইসাথে বেড়েছে কোম্পানিগুলোর মধ্যেকার বাজার দখলের প্রতিযোগিতার তীব্রতা।

ফলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে সুষ্ঠু বিপণনের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে বিজ্ঞাপন। পাশাপাশি পণ্য সম্পর্কে বর্তমান ও সম্ভাব্য ক্রেতাদের অবহিত করা, প্ররোচিত করা এবং পণ্য কিনতে উদ্বুদ্ধ করা, চাহিদা তৈরি করা, বিক্রয় ও মুনাফা বৃদ্ধি করা এবং উন্নত পণ্য ভোগের সুযোগ তৈরির মাধ্যমে জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাতেও কাজ করছে বিজ্ঞাপন।

তবে বিজ্ঞাপনের এই বহুল ব্যবহারের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একশ্রেণীর উৎপাদনকারী এবং বিপণনকারী নানা ধরণের প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন প্রচার করছেন বলে অভিযোগ তৈরি হচ্ছে। যেমন-

  • বিজ্ঞাপন বার্তায় অতিরঞ্জিত করে পণ্য বা সেবার গুনাগুণ বর্ণনা করা হচ্ছে।
  • অতিকথনের মাধ্যমে চটকদার ভাবে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যাবলী তুলে ধরা হচ্ছে বস্তুত যা অবাস্তব।
  • পণ্যের আকারকে বিকৃত বা বর্ধিত করে চোখ ধাঁধানো ভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
  • সারোগেট বিজ্ঞাপন কৌশলের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ ভোক্তা সমাজ বুঝতেই পারছে না এমন উপায়ে ক্ষতিকর পণ্য যেমন- সিগারেট, অ্যালকোহল ইত্যাদির বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে।
  • বিশেষ অফার বা ছাড়ের সুযোগ দিয়ে দোকানে নিয়ে যাওয়ার পর বিজ্ঞাপিত অফার থেকে সড়ে গিয়ে দামী পণ্য গছিয়ে দেওয়ার (Bait and switch) ঘটনাও ঘটছে।

এসব কারণে অনেক বিজ্ঞাপন বিশেষজ্ঞই এক শ্রেণীর বিজ্ঞাপনকে প্রতারণামূলক বলে অভিহিত করে থাকেন। কেননা এ ধরণের বিজ্ঞাপনের কারণে কোম্পানিগুলো ইমেজ বা ভাবমূর্তির সংকটে পড়ছে, ক্রেতা হারাচ্ছে এবং মুনাফা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

ফলে বিজ্ঞাপনের এমন প্রতারণামূলক তৎপড়তার কারণে অনেক সময় সামগ্রিক বিপণন ব্যবস্থার উপর থেকে ভোক্তাদের আস্থা কমে যাচ্ছে।

তাছাড়া প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে স্বল্প সময়ের জন্য বাজার তৈরি করা গেলেও তা দিয়ে দীর্ঘমেয়াদী ব্যবসা করা সম্ভব হয় না।

পাশাপাশি অনেক দেশেই আইন করে এই ধরণের বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করা হচ্ছে। তাই ঢালাওভাবে বিজ্ঞাপনকে প্রতারণামূলক বলা উচিৎ নয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ